অভঙুর, সহজে পচে না,
সূক্ষ্ম, পাতলা, সহজে বহন করা যায়।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক অভিশপ্ত আবিষ্কার
এটা আর অন্য কিছু নয়-
এটা হচ্ছে পলিথিন।
বিজ্ঞানীদের কোল অলো করে এল এক নতুন পথে।
কে জানে এটি একসময় সভ্যতার গতিকে হার মানাবে।
বাজার হোক, খাবারের দোকান কিংবা বড় বড় রেস্তরাঁ
সব জায়গায় একটিই জিনিস;
একটি নাম
আর তা হচ্ছে পলিথিন।
মানুষের জীবনধরাকে করেছে সহজলভ্য।
দাম কম, অতি সহজে সব জায়গায় পাওয়া যায়,
অতিশয় আরামের।
ধরণীর বুক বিদীর্ণ করে তার বুকে হয়ে থাকে জঞ্জালের স্তূপ।
কতই না ধরিত্রীর বুক তার আঘাত সহ্য করেছে।
জায়গা করে দিয়েছে তাদের জন্য।
বিনিময়ে পেয়েছে আবর্জনার গড়লে বিষের মন্ড।
এটি কোথাও আবর্জনার টিলা হয়ে পরে থাকে গলির মোরে,
আবার কখনো নদী-নালা দিয়ে বয়ে সঞ্চিত হয় সমুদ্রের গর্ভে।
স্থলের হোক কিংবা জলজ সব জায়গার জৈববৈচিত্র,
আজ প্রায় বিপর্যয়ের মুখে।
দিনের পর দিন ব্যবহারে এর থেকে হয় বিষক্রিয়া,
যে সাগরের পরিবেশ একসময় মত্স্যদের দখলে ছিল-
আজ সেই জায়গায় স্থান করে নিয়েছে পলিথিনের সাম্রাজ্য।
কিন্তু কে বুঝবে কার কথা।
যে বিজ্ঞানীরা মানুষের জীবনধরাকে সচল করার জন্য করেছিল অভিনব আবিষ্কার,
তাদের উত্তরসুরিরা আজ দিচ্ছে সতর্কবার্তা।
দেশে-বিদেশে, অঞ্চলে-অঞ্চলে চলেছে বিজ্ঞান আন্দোলন,
পলিথিনের ব্যবহারে ভয়াবহতার পক্ষে।
কিন্তু সভ্য সমাজ সতর্ক নেই।
দিন আসছে- দিন যাচ্ছে,
আমরা কিনছি, পুনরায় ব্যবহার করছি।
মোরা সাবধান নই।
এর আগাম ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা অপরাগ।
তাই জনগনের জন্যে-জনগনের পক্ষে কিন্তু পলিথিনের বিপক্ষে,
যেদিন সবাই হবে একমত।
সেদিনই দেশ বুঝবে- সমাজ জানবে,
তার ক্ষতিকর দিকটির বিরুদ্ধে হবে জনমত।