যে পিপীলিকার দল যাচ্ছে দৌড়ে
খাবারের সন্ধানে
দায়িত্ব পিঠে একা, কাঁধে ভর
এই ক্ষুদ্র পৃথিবীতে তারা তুচ্ছ
অতি সামান্য তাদের গড়ন,
কিন্তু নয় অবাঞ্চিত ।
জানে বৃহতের দলে তাদের আয়ু বেশিদিনের নয়
তবুও তাদের চোখে স্বপ্ন খেলা করে
লক্ষ্য তাদের স্থির।
তাদের সংঘবদ্ধ প্রয়াস কাজে দিবে একদিন
সংগ্রামে ভরপুর তাদের জীবন
প্রতিদিনকার বিপদে মানিয়ে চলতে হয়।
কতই না তাদেরকে জীবনযুদ্ধে সমর্পণ হতে হয়
কখনো বা মানুষের দ্বারা পিষে
আবার কখনও অভুক্ত টিকটিকির খাবার হিসেবে।
তবুও হার মানবার পাত্র নয়।
রানি পিপীলিকার আদেশকে মান্যতা দিয়ে
          কত কষ্টই না করতে হয় শ্রমিকদের
সারি সারি ভাবে চলে
সংঘের প্রয়াসে নিয়ে যায় কখনো বিশাল পতঙ্ভুককে খাবার হিসেবে
আবার কখনো বৃহত মাটির টুকরোকে দলা পাকিয়ে
নিজেদের আস্তানায় নিয়ে যায় নতুন আশ্রয় বানাতে।
বুকে একটা সংশয় জাগে
কৌতুহলে ভরপুর।
এটা যেন তাদের জীবনের শ্রেষ্ট জয়।
এটা আর কারুর না
শ্রমিকদের জয়।
যা তারা অর্পণ করে রানিকে।
শ্রমিক পিপড়েদের এই প্রয়াস যেন
খেটে-খাওয়া মানুষের বাস্তব জীবনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
আর কিছুই না হোক,
পিপীলিকারাই আমাদের বাস্তব জীবনের কর্তাধর্তা
প্রকৃত মেহনতি, প্রকৃত শ্রমিক।