চলছে রে মোর পাহাড়ি কন্যা
হাতে টুকরি ধরিয়া
খেলবে যেথা চা বাগিচায়
কদম আগর চাহিয়া।
হাতে কুণ্ডল - গলায় মালা
পড়নে ঐতিহ্যের পাছরা
পায়ে বালা - শরীরে প্রসাধনী
কনকচাঁপা রুখিয়া।
ঘট-কলসি, বাঁশবেতের কারুকার্য,
বিশ্বভূবন ভরিয়া
বাঁশকুরুল কিংবা শুটকি মাছ
নতুনত্বের উদিয়া।
ঊনকোটি, আর পিলাক
জোগায় ইতিহাসের পাতা দেখিয়া
কের, খারচি কিংবা গড়িয়া পূজা
দেয় মিলনের বন্ধন বাঁধিয়া।
দিবসে হজাগরী, ছো- নৃত্য
উত্সবের পালাটানা
রাইমা,সরমা,গোমতী চিনিয়ে দেয়
পাহাড়ি কন্যা ত্রিপুরা।
বড়মুড়া-আঠারোমুড়া-দেবতামুড়া
একের উপর এক যে পাতিয়া
জম্পুই পাহাড়ের কমলালেবু, কিংবা কুইন আনারস
সারি সারি মাতিয়া।
হাতে কলসি কাখে নিয়ে
পূজোর জল তুলিয়া
হর, হরি, উমা, পার্বতী
চৌদ্দ দেবদেবী ঘিরিয়া।
ত্রিপুরী, রিয়াং, চাকমা, মগ
ঊনিশ জাতি লহিয়া
গড়েছে মোর সোনার রাজ্য
পাহাড়ি ভুবন ত্রিপুরা।