সেই দিনটা কী মনোরম ছিল,
যেদিন প্রথম আমাদের পৃথিবীটা জন্ম নিয়েছিল
তারপর ধীরে ধীরে সৃষ্টি হল গাছপালা, সামুদ্রিক জীব
উভচর জীব এবং অতিশেষে মানুষ।
গাছপালা আমাদের অক্সিজেন দিচ্ছিল,
জীবজন্তুরা যে যার মতো শিকার করছিল,
সবকিছু ঠিকই চলছিল
তারপর হঠাৎ একদিন উদয় হল মানবজাতির।
সেই দিনটা ভারী অদ্ভুত ছিল আবার ভয়ানকও ছিল।
কারণ সেদিন প্রথম ভূমিষ্ঠ হয়েছিল মানবেরা।
সৃষ্টি ও পৃথিবীর ইতিহাসে এ এক রোমাঞ্চকর পদক্ষেপ প্রকৃতির।
কারণ তারপর থেকেই পৃথিবীর ধরন,গঠন ও আকৃতির পরিবর্তন হতে শুরু হল।
মানুষ ধীরে ধীরে সভ্য হল।
সভ্যতার ইতিহাসে মানুষ নামক জীব নিজেদের সুখের জন্য:
নগরায়নের দিকে হাত বাড়ল।
নগরায়নে আসক্ত সভ্য সমাজ বিশাল এলাকা জুড়ে নিজেদের প্রভাব খাটাল।
জলা জঙ্গল সাফ করে প্রকৃতির বুকে আনল পরিবর্তন
যে প্রকৃতি তাদের সহায়ক হয়েছিল,
তাকেই আজ নিশ্ব করে দিল।
নগরায়নের থাবায় একের পর এক এল ইমারত, কলকারখানা
চারিদিকে নগরায়নের ছাপ, জায়গা নেই শুধু গাছপালার।
নিজের প্রয়োজনে প্রকৃতি থেকে নিয়েছে সবকিছু
প্রকৃতিও যেন মুক্তহস্তে দান করে গেল।
যে মানবজাতি আজ প্রকৃতির ভরসায় থাকত,
সেই মানবজাতি আজ পৃথিবীর বুকে থাবা বসাল।
পৃথিবীর রূপ-গঠন পরিবর্তন হল।
রেহাই পেল বন্য জীবজন্তুরাও
বনই নেই তার উপর শিকার;
তাদের সংখ্যা কমতে শুরু করল।
একটা অংশের মানুষ এখনও প্রকৃতির কোল গ্রামে বাস করত,
প্রকৃতির উপাসনা করত।
কিন্তু তথাকথিত সভ্য জাতি, তাদের হৃদয়ের পরিবর্তন হল না।
একের পর ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পরে তৈরী করল নাগরিক জীবন।
যে অরণ্য আজ সভ্যদের নিজের কোলে জায়গা দিল,
আজ তার কোলকেই কলুষিত করে আখের গুছিয়ে নিল।
হায় রে মোদের মানবজাতি, হায় রে নাগরিক জাতি,
অবশেষে একদিন সময় আসবে যেদিন-
নাগরিক জাতি প্রকৃতির কোলে নিজের আশ্রয় খুজে পাবে না
শুধু নিশব্দ উভচর প্রাণীর মত প্রকৃতির খোজে চারিদিকে ঘুরবে।