দেখ যে এই নীল সমুদ্র
পারি দিব তাতে আমি দূর দেশে হয়ে
অজানার খোঁজে
অজানাকে জানতে
কখনো হিমেল হওয়ার সঙ্গী হয়ে
আবার কখনো বা কম্পাসের সেই ঘড়ির কাটা মেপে
যাব ভেলায় করে ভেসে
অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমি
কখন বা সামুদ্রিক ঝর
আবার কখনও বা জলদস্যুদের তাণ্ডব।
কিন্তু সবকিছুকে আমি প্রতিহত করেছে কঠোর ভাবে
লক্ষ্য আমার স্থির
কারণ জানি সেই সমুদ্রের পারে আছে;
এক স্বপ্নের নগরী।
সেখানে আছে গুপ্তধন।
ধূসর বর্ণের সেই নগরী।
তার চারিপাশে বিরাট নারিকেল গাছের সারি।
যেন পৌঁছে গেছি বিম্বিসার ও সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্যে।
দুই ধারে দুই নদী প্রবাহিত
আর তারই মাঝখানে স্বপ্নের সেই রাজপথ।
সামনে একটা বসেছে হাঁট
সবাই যে যার মতো ব্যস্ত।
আমার দরকার সেই গুপ্তধন।
হঠাৎ আমাকে ধরে নিয়ে গেল এক গুপ্তচর রাজার দরবারে।
সন্দেহের বশে।
আমি নিজের পরিচয় দিলাম।
রাজা প্রচন্ড আপ্লুত।
যে সামান্য গুপ্তধনের ধন্য এত দূর পারি দিয়েছে।
রাজা আমাকে কোন শাস্তি দিল না।
আমি হতবাক।
তার বিনিময়ে আমাকে এত আদর আপ্যায়ন করল;
যে ভুলে গেলাম গুপ্তধনের কথা।
কতধরনের না খাবার খেলাম।
দেখাল তাদের বিরাট রাজপ্রাসাদ।
আবার যাবার শেষে নিজেদের নাবিককে বলে দিল যে; রাজনৌকায় করে তাকে তার দেশে পৌঁছে দিতে।
সবকিছু যেন জাগ্রত স্বপ্ন লাগছিল আমার।
আবার লাগবেই না কেন।
এটাই তো সেই স্বনের নগরী যাকে আমি খুঁজছিলাম।
শেষে পৌঁছে গেলাম নিজের দেশে।
তারও খুশি,
আর আমিও দিলাম একরাশ বিদায়।