হঠাত পৃথিবীর মনোরম আকাশে দেখা গেল চমক,
নেই বৃষ্টি, নেই আলোর রোশনাই;
যেন এসে গেছে দুইটি ডাক।
দিনটা ছিল অন্য
ইতিহাসের পাতায় অনন্য।
এ যে সে কোন ডাক নয়।
এ যেন আগাম সময়ে আসন্যমান দুই উজ্জ্বল নক্ষত্রের চমক।
নিজেদের কর্মের রক্তে এই জগতবাসিকে করবে ধন্য।
সময়ের পাতাটা নতুনভাবে লেখা হবে।
আর এই ডাক আর কারোর নয়,
এটা হচ্ছে পরপর দুই শতাব্দীর দুই উজ্জ্বল বিজ্ঞানীর
আর এরা অন্য কেউ নয়,
তারা হলেন নিউটন ও আইনস্টাইন

প্রথমে এলেন নিউটন
দরিদ্র ঘর, খর্ব দেহ
কিন্ত
ছোট দেহ-খোলা মন যার নাম ডাক তাঁর চারিদিকে সবার।
হঠাৎ একদিন নিজের খেয়ালে বই পড়ছিলেন-
গাছে হেলান দিয়ে।
তারপর হঠাৎ সুতীব্র জোড়ে একটা আপেল তাঁর উপরে পরল
অকস্মাত মস্তিস্কে খেলা খেলল বিদ্যুত।
আবিষ্কার করে ফেললেন মাধ্যাকর্ষণ তত্ব।
সৃষ্টির ইতিহাসে হয়ে গেল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ
দিকে দিকে ডাক ছড়িয়ে পরল তাঁর
নিজের কর্মের দক্ষতায় উজ্বল করল পৃথিবীর আলোকে।
যুগের পর যুগ পাল্টে গেল,
ইতিহাস পরিবর্তন হল,
কিন্তু তিনি আজও মানব জগতের হৃদয়ে অমলিন হয়ে রয়েছেন।

এরপরে এলেন আইনস্টাইন,
নিউটন চলে যাওয়ার পর-
শতাব্দী হতে আরও অর্ধেক বছর প্রায় ছুয় ছুয়
ইতিহাসের কোল আলো করে ডাক এল আরেক নক্ষত্রের।
তিনি হলেন আইনস্টাইন,
নিউটন হতে প্রায় আড়াই শতাধিক বড়।
বিজ্ঞানের দৌড়ে তাঁর অবদানকে সবচেয়ে বেশী গণ্য করা হয়।
সুতীব্র বুদ্ধিমত্তা, অসম্ভব জ্ঞানী,
করতে চেয়েছিলেন মানবতার জন্যে কিছু
বের করে ফেললেন আপেক্ষিকতাবাদ তত্ব
মানবের যুগে তার ভাল দিকটা যেমন আছে, খারাপ দিকটা আরও বেশী।
কিন্ত তার তত্বকে নিয়ে মানব খারাপ দিকটাই বেশী প্রয়োগ করেছেন।
যেটা তিনি কখনো চাননি।
মানবতার জন্য নিজের জ্ঞানকে দান করেছে যে বারবার,
ইতিহাসের পাতায় তার ডাক সবার হৃদয়ে রয়ে যাবে প্রতিবার।
ইতিহাস পরিবর্তন হয়েছে,
শতাব্দীর ঢেউ পাল্টে গিয়েছে আরেক রঙে,
কিন্ত নিউটন ও আইনস্টাইনের দেওয়া ডাক-
ভূলতে পারবেনা কেউ কোন সময়ে।