শিয়ালকুচির অদূরে
পাঁচ বিঘা চত্বরে
কাঁচা নড়বড়ে রাস্তা
বগি দুমঢ়ে খাস্তা।
কিছুটা দূর গেছে রে
আম্র চাষ হচ্ছে যে।
আমবাগানের পাহারাদার
নাম তাহার লালু পোদ্দার।
এমনি তে সে দারোয়ান
খেল্ তাহার পালোয়ান।
দেখতে সে ভুতুড়ে
সারাদিন শুধু ঘুমোয় রে।
স্বপ্ন দেখে ষোল আনা
কিনবে বাগান দশ খানা।
পিঠ অ্যাটে আস্তে
দুপা ছড়িয়ে হেস্তে।
খালি টানে হুক্কা
সুখের টান দেয়রি
তার কীর্তি বেহেস্তে নাজাল
মালিক দেয় ধ্যাত্তেরি।
আয় খোকা লুকিয়ে
বাগানের বেড়া ডিঙিয়ে।
নিয়ে যা এক ডজন
ঝুড়ি ভরে পালাবি কখন।
বাচ্চারা দেয় শুড়শুড়ি
ব্যাটার স্বপ্ন গুরুগুরি।
হাতে ইয়া বড় ডান্ডা
করবে তাদের ঠান্ডা।
দু একটা ধরে ঠাই
টাকে দামড় দিয়ে পালাই।
কাকতাড়ুয়া সাজিয়ে বেলা
ভোর হতে না শুরু খেলা।
একে মাখে কালি
অন্যে ভাঙে হাড়ি
মালিক এসে হতবাক
ঝিমিয়ে ব্যাটা কব্জা,
নেই কোনো জবাব।
লালু ব্যাটা খুরখুরে
মস্ত বড় খপ্পরে।
তার কাছে উত্তর চাই
আমবাগানে আর সে নাই।
দেয় ব্যাটা গালিযে
চুরি করে পালাযে।
ধুর ব্যাটা এ অধম
নাগাল পেলে দেব হুটন পাটন।
লালু এখন পালিয়ে
শিয়ালকুচি ছাড়িয়ে।
আটছে নতুন ফন্দি
ধাপাবাজ আর সন্ধি।