বাড়ির এই পুষ্পদ্যানে বেড়ে উঠেছে
       যে ছোট্ট সূর্যমুখী
তাহার অনড় শিকড়ের খাঁজে
    সে বেড়ে উঠছে একাকী ।
তাহার অন্য সঙ্গী ছিল
      কিন্তু সে ছিল একটিই
সূর্যের সেই দিকপানে চেয়ে
      বেড়ে চলেছে স্বমহিমায়।
ছোট্ট তার কুসুম ছিল
      আর সেই ছোট্ট কলি
সাথে করে বড় হচ্ছিল
      অপার বৃক্ষ তলি।
হঠাৎ একদিন ফুলের পাপড়ি
     পড়ল মোর চোখে
ছোট্ট সেই কুসুমটি সৌরপানে চেয়ে
উঠতে লাগল সৌররশ্মির আপন লঘু বায়ে।
    উড়ে গেল ফুলের রেণু দূর গগন বয়ে
লাগিল যে মোর ভুবনটি নতুন স্বর্গ পেয়ে।
  সে এখন হয়ে গেল বৃহতের দলের সাথী
আর সবই যে বৃথা
   তুই যে এখন পরিপক্ব কুসুমকলি।
আসবে ভ্রমর দিবি ফুল    
      যেন নিজের জগতে পরিযায়ী
তোর কুসুমের নির্যাস খেয়ে
           বানাবে মধুর থলি।
সূর্যের সেই সৌরভ মাখিয়ে দিলি অতুল গন্ধ
জানালার পাশে রয়ে ছিলি উচ্চতা করে যে এখন স্পর্শ।
আসল হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় কালবৈশাখী ধেয়ে
সেই স্মৃতি মনে পড়ে ভাসে মন আবেগে।
তোর নরম ডাটিটা উঠল নড়ে
       তুই গেলি ভেঙে
প্রভাত হতে বাড়ির আঙিনায়
   খুঁজলাম তোকে চেয়ে।
তুই সে পড়ে রইলি সদর দরজার পাড়ে
পড়ে রইলি জলের অতলে,নীরব সাথী হয়ে।
ছোট্ট সেই কলিটা দুমড়েমুচড়ে গেল
আর সেই কুসুমটা চলল জলের স্রোতের তলে।
আমার আঙিনা এখন অপূর্ণ লাগছে
        তোর অভাবে ছেয়ে
আমার মনের কোনায় থাকিস
        সদা অমর হয়ে।