এক যে ছিল রাজা,নাম তার হরিহর
জন্মেছিল কোন এক কালে
ছিল তার রাজতন্ত্র, একটা বিশাল এলাকা জুড়ে
যেমন ছিল সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য,
তেমন তার তেজ।
বিদ্বজ্জনদের সভাসদে তার আদেশ ছিল সর্বদা সতেজ।
নিত্যদিন গুপ্তচর, প্রজারা নিয়ে আসত নানা সমস্যার কারণ
রাজা তার বুদ্ধির জালে করে দিত-
সমস্ত সমস্যার নিবারণ।
রাজবংশের শ্রেষ্ঠ মহারাজ, যেমন ছিল তার ডাক
বংশ পরম্পরায় সে বুদ্ধিমান,নেই তো কোন খাত
রাজ সভাসদদের আদরের মণি,
সকলের ডাকে সে ছিল উন্মুক্ত সজীব
জনকল্যাণ করে গিয়ে রেখেছিল পাহাড় প্রমান নজির।
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত সবাই,
বানিয়েছিল একের পর এক শিবির
একের পর এক যুদ্ধ জিতে বংশের নাম করেছিল উজ্জ্বল
সে ছিল প্রজাবৎসল, রাজত্ব ছিল একটা বিশাল ভূখণ্ডে
সৃষ্টির ধারায় কী যে হল ?
রাজবংশটি হারিয়ে গেল কোন এক কালে
কালের স্রোত যেন তীব্র বহমান
ভাগ্য পারলনা তাকে আটকাতে
সুখের সাগরে ঘেরা রাজতন্ত্র যেন-
নিমিষে মিশিয়ে গেল কালের ঘেরা অতলে।
কে বলবে যে কী ঘটেছিল,
যুদ্ধে একের পর জয়ের পরও কেন এরকম হল ?
হঠাত একদিন কোন এক কালে আবার মিলল রাজবংশের সন্ধান,
সময়টা ছিল অন্য,
তবে জীবন্ত বা প্রত্যক্ষে নয়,
আস্ত মাটি খুড়ে,
মাটির নীচে যেন চাপা পরে রয়েছে,
একটা হাজার বছর আগের গর্বের ইতিহাস ।
সময়টা পাল্টে গেছে,
সভ্যতার দিক পরিবর্তন হয়েছে,
রয়েছে মাটির নীচে চাপা।
তবুও যেন আমাদের হৃদয়ের গহীনে আপন স্বমহিমায়-
কোন এককালের গৌরবগাথাটি আজও অমলিন হয়ে রয়েছে।