যদি বা তোমাকে নিয়ে ভাবি
কি এসে যায়
ভরা চন্দ্রিমায় চাঁদের গরিমায়
কলঙ্কের কাছেও হার মানায়
কিন্তু তোমার দীর্ঘশ্বাস আজও
আমার গায়ে লাগে।
ভুলতে পারিনা সেই দিন
আমার কাছে ঠিক ততটা মূল্য ছিল
যতটা না তোমার কাছে ছিল মূল্যহীন।
রূপের ঘোমটায় আধঢাকা মুখ শুধু নীরবতায়
আমার দিকে তাকিয়েছিল।
কাশের চাদর স্বাক্ষী ছিল
মিহি করা শিশির
  তার উপর দাড়িয়ে আমাকে বলেছিল যে,
আজ সে অভুক্ত
ভারী বাতাস তার সহ্য হয়না
সে চায় শুধু ঠান্ডা শীতল হাওয়ার দোলা
যার পরশে সে ধারণ করবে তার রূপ
যার মোহ আচ্ছাদিত হবে তোমার পরশে পরশে।
কিন্তু তোমার ছোঁয়ায় সে যেন মুর্ঝা হয়ে গিয়েছে।
তার রূপ ঝরে পড়েছে।
তোমার কেশে কেশে আজ শুধু জট পেকেছে।
মলিনতা ভরা আখি দুটি কেন জানিনা
পরাচারের বহ্নি গাইছে
অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত প্রদাহ দিচ্ছে।
সত্যি কী তাই?
আমি তবে সেটা মানিনি
  আজ চাঁদের কলঙ্কও তোমার আড়ালে বসে কাদছে।
আজ আমি ভাবব না কেবলি চাইব
তোমার কলঙ্কের ছাপ নিজের তনে ভরাব
নিভিয়ে দেব মোদের যাযাবর জীবন
দেবনা আর তোমার মনকে পাচার
দূরে সরাব নিশ্চল মনের পরবৃত্তি
আর শুধু বলব,
"তুমি নও কলঙ্কিনী রাধিকা, তুমি আমার সেই বকুল"।