একদা এক সাপুড়ে ছিল নাম তাহার রামজয়
প্রতিদিন নানা জায়গায় ঘুরে সাপের খেলা দেখাত
থাকত সে গ্রামের অপর প্রান্তে
সাপুড়ে বলে গ্রামের ভেতরে জায়গা ছিল না ওর
একটি ঘর, ভাঙা চার দেওয়াল;
   এর মাঝেই ছিল ওর আস্তানা
অভাবের তাড়নায় মাঝে মাঝে তার অন্ন জুটত না।
তাহার মাঝে সে সাপের খেলা দেখাত,
যা উপার্জন করত তা দিয়েই সে কোনোভাবে দিন চালাত
বাড়িটি তার জঙ্গলে ঘেরা,
  জন্তু জানোয়ারের উৎপাত।
তারই মাঝে একদিন সাপুড়ে কাজ শেষে ঘুমোচ্ছিল
আসল একটি কোলাব্যাঙ,
                  পা টিপে টিপে
সাপুড়ের পুটুলির কাছে,
সাপও পুটুলির ভীতর করছে ছটফট
সে বেরোতে চায়,
সে খেলা দেখাতে দেখাতে এখন পরিশ্রান্ত
সে তার পুরনো জায়গায় ফেরত যেতে চায়।
তাই কোলাব্যাঙের আগমন তার কাছে দূতের মতো হল
পুটুলিটা ছিল হালকা খোলা
   সাপ কোনোভাবে বেরিয়ে গেল,
আর ব্যাঙ টি তার ভেতর
   চুপিসারে প্রবেশ করল।
নতুন জায়গা পেয়ে ব্যাঙও খুশি, তেমনি সাপও।
পরদিন সাপুড়ে লোকালয়ে গেল খেলা দেখাতে
কিন্তু সে পুটুলি খুলতেই একটি কোলাব্যাঙ বেরিয়ে এল।
ব্যাঙকে দেখে সাপুড়ে যেন হতভম্ব
কী করবে এখন-
সে যেন স্তব্ধ।
সাপুড়ের পরিশ্রমে ঢেলে দিল জল।
যে উপায়ে সাপুড়ে সাপকে জব্দ করেছিল,
সেই উপায়েই কোলাব্যাঙ তাকে মুক্তি দিল।
এখন সাপের মুক্তি, কোলাব্যাঙেরও মুক্তি,
অপরদিকে সাপুড়ের দুর্গতি।