জীর্ণ জীবন-জড় মন;
সবকিছুর শেষে খানিকটা স্বস্তি কী প্রত্যাশা করা যায়না।
বদ্ধ দোয়ারে মুক্তির জন্য কে না কিছু করে
সময়ের ধ্বজা বুকে নিয়ে আর কিছু না করা হোক।
ক্ষণিকের সুখের জন্য লড়াই পরাভূত হয়না।
নিজের সুখের জন্য অপরের আনন্দকে দর্পচূর্ণ করা গেলেও;
বিধাতা তার হিসেবের চাবি নিজেই নিয়ে রাখে।
যখন সময় আসবে ঠিকমতো উসুল করে দিবে।
জীবনটা এক মস্ত বড় ছিন্নমুকুট
ব্যবহার করা যায়, ভরসা করা যায়না।
ক্ষণিকের জন্য নিজের মন বিকিয়ে কিছু আশা করা যেন-
নিজের আত্মত্যাগকে কলুষিত করা।
হতে পারি শীর্ণ,জীবনযুদ্ধে পরাজিত
সময়ের আলোতে নিজেকে আর নিজেকে আর টিকিয়ে রাখতে পারছিনা।
তবুও মোর দেহের রক্তে মোর সংসারকে করে যাব;
সুখের আশা থেকে অবঞ্চিত।
এই পৃথিবী যেন সোনার সংসারে বাধানো দুঃখের মেলা
জীবনের সবকিছু যেন বিধাতা প্রেরিত বাণী হয়ে রয়েছে।
তবুও হাল ছাড়ছিনা;
ক্ষণিকের সুখের আশায় সবকিছু যেন ত্যাগ করে,
নিজের ভূবনে গড়া রাজ্যকে অমলিন করে যাব।
নিজের মনে বাধানো স্বপ্নকে হাতের নিমিষে মিশিয়ে দিতে পারে;
এমন নির্বোধ কেউ নেই।
কিন্তু ক্ষণিকের আনন্দের লোভে সংসারকে মিশিয়ে দেওয়া:
এমন স্বার্থপর সহস্র আছে।
তাই নিজের পৃথিবীতে ক্ষণিকের সুখের জন্য নিজেকে স্বার্থপর  করা মানে-
সময়ের আঙিনায় বাস্তবের মাটিতে নিজের জীবনের বন্ধনকে নিজেই মিশিয়ে দেওয়া।