সেই সকালে ভোরেতে উঠি
খাবারটাও ঠিকমতো জুটে না।
বাসিমুখ নিয়ে পরিজনদের দেই বিদায়।
আধভাঙা টিনের ঠেলা নিয়ে বেরিয়ে যাই।
দিনভর ঘুরি;
   শহরের এদিক থেকে ওদিকে
একপাড়া হইতে আরেক পাড়া।
সূর্যের দাপটকে হার মানি না।
দেই সজোর চিত্কারে;
কেউ আসুক বা না আসুক কোনোবারে।
তবুও হার মানিনা।
সেই ছুটেই চলেছি মোরা।
শহরের এই যান্ত্রিক দুনিয়াতে।
মোবাইল স্মার্টফোনের এখন যুগ এসেছে
    কেউ কি এখন খবরের কাগজ পড়ে
আমরা এখন দুপুর ছুই ছুই
আর আধমরা শহরবাসী এখনও ঘুমিয়ে
ওরা দেয়না সাড়া,
         শোনেনা মোদের আওয়াজ;
ইমারতে ঘেরা সেই দুনিয়াতে
   মোদের আওয়াজই মোদের কানে ধ্বনিত হয়
     ওদের কানে পৌছুয় না।
ওরা মোদের কষ্ট বুঝেনা।
তবুও এই আধভাঙা শরীরে মোদের চলতেই হবে।
    যেটুকু পাই তা দিয়ে-
পরিবারের জ্বালা মিটাতে।
তাই ইমারত, এখন তোমায় দিলাম বিদায়।
আজকে মোরা থাকব অভুক্ত
   কিন্তু কাল নয়।
নিজেদের শীর্ণ শরীরে ছুটতেই থাকব।
হয়তো কোনো ফেরেস্তা আসবে;
    ঘুচাবে যান্ত্রিক এই জগতে মোদের দুঃখ।