আসছে এক কাবুলিওয়ালা রেড়ির উপর চেপে
মুখে হাসি, চোখে সংশয়ের ভাব!
একলা গলির কোণে।
সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে এখন তার ডাকার পালা
সুতীব্র কন্ঠে, আবেগপূর্ণ সুরে অনেকবার ডাকল সে,
ধীরে ধীরে কিছু আসল লোকজন
     বেজায় বিড়ম্বনায় সে।
শুধু কাবুলি খেয়ে কী পেট ভরা যায়?
জনগনের ডাকে হকচকিয়ে গেল সে।
হাতের কাছে পাওয়া ভারী, যা হল সেটা
ময়দা কিছু বাকি ছিল, রুটি বানাল যেটা।
তারপর বিক্রির পালা।
সবাই যে যার মতো কিনল,
বিক্রি ভালই হয়েছিল,
খাবার শেষে যাবার শুরু
খানিকটা খাবারও বাকি ছিল।
তারপর তার লক্ষ্য গেল সবার শেষে!
এক ভিখারী-
জামাকাপড় ছেড়া,জীর্ণ-শীর্ণ হাতে বাটি নিয়ে।
প্রথম দেখাতেই কাবুলিওয়ালার মায়া হল।
আর বাকি যেইটুকু খাবারবাকি ছিল তাকে দিতে লাগল
তার এখন দোকান গোছানোর পালা,
সে তার সাধ্যমত বাকি খাবারগুলি দিতে চাইল।
ভিখারীর মুখে যেন হাসির ফোয়ারা এল,
তা দেখে কাবুলিওয়ালার চোখে নিস্তব্ধ জোয়ার এল।
জানে সে ভিক্ষুক, কতুতুকু টাকাই তার কাছে চাইবে,
এ যেন অরণ্যে রোদন।
এবার কাবুলিওয়ালার দেবার পালা।
প্রথমে টাকা সে চাইছিলনা,
তারপর-
জড়তাময় সুরে সে তার কাছে টাকা চাইল,
কিছুক্ষণ সময় সে কাবুলিওয়ালার দিকে চেয়ে রইল,
তারপর সে এক নির্বিকার হাসিমুখ নিয়ে-
সে দিনে যা পেয়েছিল সব দিয়ে দিল,
তারপর সব শেষে দুইজন দুই গলির মুখ দিয়ে যে যার মতো নিমিষে মিলিয়ে গেল।