ঐ যে দূর সীমান্তে সিপাহিরা দিচ্ছে টহল
মাথায় টুপি-হাতে বন্দুক আর অদম্য সাহস
দেশবাসীকে রক্ষার খাতিরে কত না করছে কিছু
কখন শত্রুরা ছুড়বে আঘাত
প্রহরীরা ধরছে পিছু।
তাদেরও একটা পরিবার আছে
তাদের পরিবার থেকে কত না আসে খত
চোখে জল, বুক বিদীর্ণ হয়ে যায় তাদের;
নিজের পরিবারের লেখা দেখে
তাদেরও যেতে ইচ্ছে করে
সবকিছুকে ছেড়ে পরিবারের কাছে
ওদেরকে একরাশ ভালবাসা দিতে
কিন্তু আর যাওয়া হবে না ।
বুকভরা সংশয় মনে খটকা
কারণ অপর সীমান্ত থেকে এসে গিয়েছে গুলি
যুদ্ধের ময়দানে একের পর এক তৈরী সবাই।
ছুড়ছে বোমা লাগছে আঘাত।
লাগবে গুলি শরীর ক্ষতবিক্ষত
তবুও যতটুকু আছে প্রাণ
দেশের জন্য করবে তা নিমজ্জিত।
করবে লড়াই হানবে আঘাত
বাড়াবে দেশের মান।
শত্রুদের সাথে লড়াই করে-
একের পর এক পরে তাদের লাশ ।
তবুও তাদের মুখে জ্বলজ্বল করছে-
একরাশ হাসি
জীবনযুদ্ধের সৈনিক ওরা
করেছে দেশের জন্য কিছু
দেহের রক্তে নিজে হয় শহিদ
মৃত্যুফাঁদা সর্বদা অপেক্ষা করে-
তাদের পিছু পিছু।
যাবার বেলা হল দেরি
আর যাওয়া হল না।
হাসির মোড়কে নিজের ব্যথা লুকিয়ে রাখে যাতে
ধরণীর মুখে সোনার হাসি ফলায় তারা তাতে
এই ধরণীর অমৃত সন্তান তারা
নিজের মাতৃকোলকে তুচ্ছ করে
ধরিত্রীর জন্য বলিদান দেয় তারা
ইতিহাসের পত্রে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে-
দেখবে তাদের সন্তানেরা,
আগামী প্রজন্মের দূত যারা।