হে আমার বসুন্ধরা
তোমাকে জানাই শতকোটি প্রণাম
তোমারি পরশে যেন গাহি
করি তোমাকে বাচাবার অঙ্গীকার।
কহিব যে নিঃশব্দে আজ
    সবাই যে নির্বাক বহ্নি
ধরণীর কোলে মাথা গুজে
    সবাই যেন মৃত্যুপথ যাত্রী।
দেখ হে বল্লাল ভূমি
          দেখ হে নিশ্চল বঙ্গবাসী
কবেবার সৃষ্ট জাতিভেদ প্রথা
আজ গ্রাস করেছে তোমাদের ত্রাহি ত্রাহি।
বঙ্গের উপর আজ পরশক্তি করছে রাজ
    আর তোমরা বসে রয়েছ একাকী
তোমারি বুকে আজ হানছে আঘাত
    বসুধার মাটিকে করছে রক্তারক্তি।
দেখ যে শতায়ুর্ধ লোকটি পরে রয়েছে গলির মোড়ে
তার চোখে ছিল অপলক স্বপ্ন
সময়ের চোখ চেয়ে বসে রয়েছিল সে
কিন্তু আজ পরশক্তির থাবায় হয়ে রয়েছে লাশ।
কোথায় গেল মোদের স্বর্গের সেই বসুন্ধরা
জল,স্থল,মাটি,বাতাস সব হয়ে রয়েছে পাপিষ্ঠ
নির্বিকার হয়ে রয়েছে তোমার দেহ
শুধু পেয়েছে একঝাক মলিনতা।
আজ যে ছোট্ট শিশুটি তার মায়ের কোলে বসে কাদছে
তার জন্য ছেড়ে দিতে হবে স্থান
তাকে আগামী প্রজন্মের বারুদ হয়ে উঠতে হবে।
আর তাতে চালিকাশক্তি হব মোরা।
বসুন্ধরার দোয়ার এখন শেকলে বাধা
    আর তোমরা এখন ঘুমিয়ে
দেখ যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে দুলে
    সবার মনের বিদ্রোহী এখন ভবঘুরে
শুধু ধরতে হবে নিজেকে
     বুঝতে হবে নিজেদের দুর্বলতা
নিশীথের আলোর পলকে ঘেরা অভিমানকে
বসুধার মাটিতে দাড়িয়ে আজ করি শপথ
তোমার গাত্রের পাপশক্তিকে করব অম্লান।
ভেদতে হবে শুধু পরশক্তির চোখে ঘেরা নির্জীবতাকে।