ওই যে বিহঙ্গের দল যাচ্ছে নিজেদের কোঠরে
পাখিরা নিজের বাসা ফেরত
দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণে এক ক্ষীণ মুহূর্ত
যা সকলকে একসূত্রে গেথেছে
করেছে এক চমকপ্রদ মুহূর্তকে সঙ্গীন।
সূর্য প্রায় অস্তরত
দূর আকাশপানে তার আভা ছড়িয়ে পড়েছে
গায়ের বাকা রাস্তার পথে।
রাখাল বালকের গরু চড়িয়ে নিয়ে আসা
কিংবা ঘরে ঘরে শঙ্খধ্বনির আওয়াজ
উৎসারিত হয় যে গোধূলি লগ্নে ঘেরা সময়।
সময়টা ভারী ক্ষীণ
   দূর গগন যেন রঙিন,
কিন্তু রাত্রির সৌন্দর্য তার-  
           চরণে এসে স্পর্শ করে
তপনের তেজ তার গাত্র ছুঁয়ে যায়
এটা যে মোদের সামান্য লগনের অংশীদার।
রামধনুর রংও যে তার কাছে লাগে ম্লান।
চারিদিকে শুধু নকল আলোর পরশ
যা তোমার প্রকৃত স্পর্শে পায় যেন প্রাণ।
ধরণী বিভাবরী যে নতুনভাবে সেজে ওঠে তার সন্তরণে।
কিন্তু গোধূলি তুমি সে একা নও
তোমারি বিদায় জানাতে
             যখন সন্ধ্যারতি নামে
তখনই পশ্চিমাকাশে মিটমিট করে -
তোমায় অভিনন্দন জানায় শুকতারা।
   যা তোমারি পরিবর্তনের সাথী।
প্রতিদিনকার ছোঁয়া তুমি রেখে যাও
জানি তুমি বিশেষ মুহূর্তের অভিসারী।
অভিসারের গমনে তোমার স্পর্শে
      পায় এদিক সমর্পিত
অন্য দুনিয়ায় হয়ে ওঠো তুমি সজাগ
            ভোর নামে খ্যাত।