আজ এক কফিন গড়িয়ে গড়িয়ে আমার কাছে এল
    তার হাত পা সমস্ত ঢাকা
মুখ বান্ধা অন্ধকারে ভালো করে বলতে পারে না-
  তবুও উদগত সরে আমাকে ডাকল
   প্রশ্নবানে করল জর্জরিত।
সে কিছু বলতে চায়।
  দেখা যায়নি বেশি কিছু
  শুধু দেখেছি কাপড়ে ঢাকা তার আধমরা মুখটা
কাপড়ের ফাঁকে
  সেটা জ্বলজ্বল করছে:
আমাকে কিছু বোঝাতে চাইছে
আমি কিন্তু কিছু বুঝিনি;
শুধু দেখেছি তার ভিতরে সাদা কাপড়ে রক্তের দাগ।
সেটা খা খা করছে।
  বেশিক্ষণ হয়নি;
সে নিয়ে গিয়েছে একটা লাশ
কবরের কাছে।
এটা তার নিত্যদিনের কাজ।
মৃতের বোঝা চাপাতে চাপাতে তার মুখ ঝুলে পড়েছে।
  সে আমাকে কিছু বলতে চায়।
বলছে গতকাল এক হাত কাঁটা মৃতকে নিয়ে এনেছিল তাতে করে
    পুরো গ্লাস চড়ানো।
তার চেহারা পুরোটা ঢেকে ছিল।
রক্তের উদ্ভট গন্ধে তার যেন দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তার গ্লাস সরানো হয়নি
  সে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে।
  অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েছে কিন্তু পাইনি।
  সে আমার কাছে বিচার চাইছে
  লাশের ভারে তার শরীরে পচন ধরেছে।
   সে এখন একটু ঘুমোতে চায়।
  বাইরের স্নিগ্ধ বাতাসে স্বস্তির শ্বাস ফেলতে চায়।
   শুধু ইশারায় করে আবদার
   আমি কিন্তু সেটা ধরেছি।
  খুলে দিয়েছি তার বদ্ধ গ্লাস।
এখন সে মুক্ত।
   সে আমাকে কিছু দিতে চায়
দিয়েছে তার রক্তমাখা কেতন
এবার দেবে সে শান্তির ঘুম লাশের আড়ালে।