বাতাসে ভেসে উঠা,
লড়াকু মোরগটির সেই ছেড়া পালক
সাদা ধবধবে আর,
উজ্জ্বল সেই বর্ণ
  সূর্যের সেই আলোকে যেন ঝলসে উঠেছে।
দেখেছে সে সবকিছু,
দেখেছে মোরগটির বাঁচার আর্তনাদ,
দেখেছে সে মেঘমল্লারের সেই ঝঙ্কার
আবার সোনালি আঁকাশে রামধনুর সংহার।
একেলা সেই গগনে
পবনের প্লাবনে,
   কখনো উড়ে যায় উঁচুতে
আবার কখনো নিম্নগামী হয়।
পেয়েছে সে সবকিছু,
পেয়েছে সে কংক্রিটে ঘেরা ধোঁয়ার চাদর
আবার ধূম্র পাহাড়ে বড় বড় বৃক্ষরাজির চাঁদোয়া।
তার নেই কোনো স্বার্থ,
আর নেই কোন উদ্যোগ।
  শুধুই একটা আশা
কোনোদিন হয়ে উঠবে তাজের সেই গৌরবের রেখা।
জানি সে অতি নগন্য,
নেই যে তার কোনো মূল্য
  সে যে ক্ষণিকের অতিথি
হওয়ার সাথী হয়ে কখনও হয় এখানে,
আবার দূরে চলে যায় বৈকি।
কিন্তু সে নিঃসঙ্গ নয়
যে আশা নিয়ে সে পাড়ি দিয়েছিল স্বপ্নর সেই উড়ান
যান্ত্রিক দুনিয়ার এই সোপানে
   পাক বা না পাক তাজের অংশীদার
তবে ফেলে দেওয়ার নয় সে আধার
হয়ত একদিন সে দেখবে,
হয়ে উঠবে কারোর অন্তত জীবনের অহংকার।