এক যে ছিল নিঝুম রাত, আসল শীতের হাড়কাপানো অবস্থার সঙ্গী হয়ে,
দুপুরের শুষ্ক আবহাওয়া পার হয়ে, গোধূলীর অন্তে সময়ের ধারায় বয়ে।
দিবাবেলায় মধ্যগগনে সূর্য যখন গ্রাস করেছিল ধরিত্রীর সৌন্দর্যকে,
সন্ধ্যার আবছায়া পতনের পর নতুন মুহূর্তের শুরু,রাত্রির সন্ধিক্ষণে।
রাত্রির ঘন কালো আকাশের নীচে যখন শিশির, বিন্দু বিন্দু জমা হল পাতার শীর্ষদেশে,
পেচার ডাক, ঝি ঝি পোকার শব্দ, নিঝুম রাত্রির নীরবতাকে নিয়ে গেল এক অন্য জগতের স্পর্শে।
জানলার পাশে ছিল এক বৃহত্ তালগাছ, উচু উচু গগনস্পর্শী,
সময়ের বাস্তবতাকেও হার মানায় নিঝুম রাত্রির অতলস্পর্শী।
কাটতে চায়না মন, বছরের একটি বিশেষ সময়ে রয়েছি যে এখন,
মনের চাওয়া পাওয়া যেন মিলিয়ে গেছে নিঝুম নিশীথের গভীর অতলে তখন।

ভাঙতে চায়না মন নিশীথের কালো মেঘের ঘেরাটোপের,
কিন্তু শীতের নীরবতাকে ভেঙে যেন আগমন হয়ে যায় ঘন তুষারের।
অদৃষ্টের হাওয়া বইছে সদয় কোনো এক অজানা রহস্যের স্বরূপ উন্মচনে,
শান্ত আকাশ সুনির্মল বাতাস যেন কোটি কোটি তারার স্মরণাপন্নে।
সমতল ভূমি, চারিদিক ক্ষেত, পাশে শীতল নদীর ঢেউ বইছে আপন মহিমায়,
নীরব কাচা রাস্তার পথ, জোনাকি পোকার রাশি রাশি জ্বলা,ভরে উঠে স্বাভাবিক গরিমায়।
অমাবস্যার চাঁদের মতো তোমার অপেক্ষায় থাকি আসবে কোন লহমায়,
তুমি যেন এক ভ্রাম্যমান ভ্রমর, কতদিন ধরে ছিলাম তোমার অপেক্ষায়।  
তুমি যেন ছিলে কবেকার মোর প্রাণ, আসো তুমি একটি বিশেষ দিনে
গরিমার সেই মুহূর্তের স্বাক্ষী আমি , সর্বদা হয়ে থাকো স্বনির্ভরের।

চন্দ্রের কালিমা যেন ঝাপসা হয়ে গেছে, লাগঝেনা তাতে কোনো খাদ,
হৃদয় হয়ে দাড়িয়েছে যেন আরোগ্য সাধনে লিপ্ত মোদের এই রাত।
কোথাকার অভিসারে আমি আর তুমি লিপ্ত,যেন লক্ষ্যের মাঝে বাধা হয়ে দাড়িয়ে পদস্থলন,
নির্ঝর বৃষ্টির মতো হয়ে দাড়িয়েছো; জানিনা আজ কী হবে মোদের মিলন ?
হে যামিনী-হে শশী ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন তুমি যেন সবচাইতে পটিয়সী,
নিশীথে মোদের মিলনের দূত তুমি,সবচেয়ে ভূয়সী।
আর শুধু কয়েকটা প্রহর, চলে যাবে তোমার ঔজ্জ্বল্য,
দিবাকরের দিবাভরের ফলে তুমি ভূলে যাবে তোমার স্বাতন্ত্র।
ভূলা যাবেনা কখনো তোমায়, ভুলবোনা আমি, আমরা যে কয়েক মুহূর্তের সঙ্গী,
বছরের একটি বিশেষ খনে স্বাক্ষী মোরা একে অপরের মিলনসাথী।