আজও আমি দুঃস্বপ্নে দেখি
দুফোটা বৃষ্টির জল আজও আমাকে কাদায়
ভুলেনি অতীতের সেই রক্তেভেজা মুক্ত প্রাঙ্গন
পুলিশের ব্যারিকেড টপকিয়ে আচমকা,
গাড়িবোঝা একদল আততায়ী চালাল বর্ষণ
এ নহে গোলাবারুদ, এ নহে জলকামান
এ শুধু বন্দুকের গুলি
কী বিকটই না সেই শব্দটা
কী হয়েছিল ততমুহুর্তে
তা আমাকে কাদায়
রক্তে ধৌত ছাত্রদের নিথর দেহে;
আজও প্রাঙ্গণের বুক কাঁপে-
রক্তের করুন আর্তনাদের ছিটা আজও
আমার শরীরে লেগে আছে।
আজও রাতে ঘুমোতে পারিনা
সেই মেয়েটির জন্য
স্বপ্নে ডাকে সেই মেয়েটি আমাকে
সাহায্যের জন্য
তার চেহারায় অতঙ্কের যে গভীর ছাপ
মৃত্যু ভয়ের সেই দাগ
এখনও আমার ঘুম ভাঙিয়ে দেয়
মাঝে মাঝে।
হাপিয়ে উঠি আর তাকাই নিজের দিকে
অতীতের নিদারুণ সেই ভয়াবহতা যেন
আমার কণ্ঠকে ছিড়ে খায়।
গলার স্বর বন্ধ হয়ে যায় লাশেদের চিত্কারে।
সময় পেরিয়ে পাড় হয়েছে বহুকাল
তবুও ভরা সেই প্রাঙ্গণের ঘাসে ছুয়ে বেড়ায়
মৃতদেহের গন্ধ।
ভরা কোলাহলের মাঝে-
কোথাও যেন গা ছমছমে ভাব
সেই প্রাঙ্গণের বায়ু আজও দুষিত
ত্যাগীদের ঝরানো রক্তে।
ভবিষ্যতের কাঠামো তার হাতে নেমে
প্রাঙ্গণের জড়তা আজও নড়ে
তরুণদের কচি হাড়ে।
আজও আমি দুঃস্বপ্নে দেখি
কী হবে আগামী কালের প্রভাতে ?
আজও আমি সাম্যের গান গাই
কালো আকাশে ঢাকা মেঘের গর্জনে
কিন্তু অতীতের খুনসুটিতে তাউরি খেয়ে
পড়ে যাই বর্তমানের খাতে।