একদিন বাড়ির আঙিনায় আমি পায়চারি করছিলাম,
নিস্তব্ধ পরিবেশ, নিকষ কালো রাত্রি।
আকাশটা মেঘলা, ঘন মেঘে আচ্ছন্ন।
তারই মাঝে হঠাৎ মিটমিট করে জ্বলে উঠলো একটা তারা।
নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না।
এর রহস্যের উন্মচন করতেই হবে।
ঘরে দূরবীনটা পরে ছিল,
অনেকদিন বার করেনি।
ধুলোয় ভরা এটি, মাকড়সার জালের যেন প্রিয় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
অনেক প্রতীক্ষার পর ধূলো ময়লা সব পরিস্কার করে এটিকে বার করলাম।
দূরবীনটি যেন নতুনভাবে ঝলমল করে উঠল।
তার বুকে যেন জমে রয়েছে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত আশা।
নতুন উদ্বেগে নতুন উৎকণ্ঠায়।
তার শরীরে ধরে আছে অতৃপ্ত ক্ষুধা
তবে আজ তার স্বপ্নটা পূরণ হতে চলেছে তার।
কিন্তু তার লেন্সে অল্প চির ধরেছে।
অনেকদিন বদ্ধ ঘরে আটকে ছিল যে সে।
তারপর সবকিছু ঠিকঠাক করে আকাশপানের দিকে-
যেখানে তারাটি রয়েছে সেদিকে তাক করলাম।
দূরবীনটি বেশ বড়সড় ছিল।
তাই সহজে সবকিছু আবদ্ধ করতে পারত।
অনেক চেষ্টার পর দেখলাম এটা কোনো তারা ই নয়।
পূর্ণিমার চাঁদের যোতি তার আভা ছড়াচ্ছে মেঘের আড়াল দিয়ে।
আমারও আকাঙ্ক্ষার পরিতৃপ্তি হল;
দূরবীনটিও নতুন রূপে নিজেকে ধরা দিল।
সভ্যতার ইতিহাসে দূরবীনটি একটা চমকপ্রদ আবিষ্কার।
বিজ্ঞানের গতিতে তাল মিলিয়ে মানবজীবনের গতিকে করেছে পূর্ণকার।
অবশেষে দূরবীনটিও নিজের গন্তব্যস্থলে পৌছল,
                        আর আমিও নিজের ঘরে গেলাম।
তারপর সব ইতিহাস।