তুমি চিত্র, আমি চিত্রশিল্পী
তুলির মসৃণ সাজে আমি সর্বদা তোমাকে ভরাই
সাদা কাগজে ভরে ভরে লিখি
ঘন্টার পর ঘন্টা,
কখনো পাল্টিয়ে বা কখনো নতুন করে
সাজিয়ে গুছিয়ে তোমাকে নতুন রূপ দিই
আমার টানে তুমি হয়ে উঠ নবীন
চিরযুবা,চিরঅমলিন,
তোমার টানে আমি খুঁজে পাই নতুন ভাষা।
কখনো তোমাতে পাই,
সূর্যাস্তে ভরা দিগন্তের প্রভারি
আবার তেমনি সবুজাভ গোলাপি টানে
গ্রাম্য রাখালের গরু চড়াই।
সবই আমি পাই, সবি আমি গান গাই
হারিয়ে যাই তুলির টানে;
চিন্তন এক জগতে।
গাঢ় খয়েরি বর্ণে আঁকা সেই অকপট
সারি সারি গাছগুলো,
তাহারি মাঝে বোঝাই করা ফসলগুচ্ছ
আমি সাড়া পাই।
পৌছে যাই যৌবনের সেই দুয়ারে
পল্লীবাংলার ঘাটি। এক পাল বকের মাঝি।
দুলছে শাখি শাখি। পদ্মের পাপড়ি খুলছে আঁখি।
এরই মাঝে আমি দাড়ায়ে তোমার চিত্র আঁকি।
একেছি জামরুল, জামুনের গোছা,
থোকা থোকা ঝুলি
তারি মাঝে পাখি বসে খেয়ে যায় দু'একটা
নীল আকাশ স্নাত দুটি ক্ষুদে,বসে রয়েছে জড়িয়ে-
করি রকমারি চিত্রায়ন।
একদা দেখেছি আমি,
সেই ভর্তি দহির হান্ডি
তার ফোটায় আমি সাজিয়েছি। দিয়েছি কয়েকখানি।
খেলেছি আমি ওর সাথে,
ছোটবেলায়,
পুতুলখেলার সেই সাথী
লাল শাড়িতে কাশফুল আকিয়া,
সবুজ কল্পনায় শরতের ছবি ভাসি।
একেছি মাটির উনুন, ধোয়াটে গড়ন
চাপিয়ে গোল ভাতের হাড়ি,
বুন্দি বুন্দি সাদা গোলা;
তামাটে কাচি টানি।
ভরিয়েছি মেটে কুমোরতলা
তার পাত্রটা দেখি,
চিকন চিকন কিনারা নীল স্কেচপ্যানে ডুবে ডুবে গাথি।
একেছি সব, দিয়েছি ভরিয়ে
একের পর এক কাগজে
স্মরণে রূপায়ণে
রয়েছি আমি চিত্রকার, তুমি চিত্র
রঙের সপ্তসুরে।