চিন্তা করি আমি
কেবলি চিন্তা
সাদা পাতায় সবুজ চিন্তা। হলুদ খামে নীল চিন্তা।
বর্ষার রাতে বজ্রপাতের চিন্তা। সবজির দরের চিন্তা।
হেঁসেলের কাঠিতে উনুন জ্বালানোর চিন্তা।
কত চিন্তাই না খেলা করে অলখ্যে।
ভস্মীভূত করে কালে কালে।
কী হত যদি চিন্তা একটা বই হত?
তার মসৃণ পাতায় খুঁজে বেড়াতাম চিন্তার ঔষধ।
খুঁজতাম তার প্রতিকার।
তার নির্যাসে দূরীকরণের ঢোক গিলতাম।
অনেক ঘেটেছি পাতার পর পাতা
কিন্তু পেলাম না।
শেষে দেখলাম এক ছেড়া পাতায় লেখা
''বশীকরণে মুক্তি সব চিন্তা''
লাগবে নগদ দুহাজার টাকা।
যা! কী কান্ড ঘটাল।
মস্তিস্কে এল আরেক নতুন চিন্তা।
চিন্তার পাহাড় একের পর এক জমেছে।
পাতাটা ছিড়ে ফেলে দিলাম।
এরপর রেলে দেখলাম পত্রিকা হকার
নিয়ে যাচ্ছে পত্রিকা।
হাত ভর্তি গোছা,করছে দামাদামি।
সেটার কলামে লেখা ছিল,
''চিন্তা মুক্তির সমাধান একমাত্র চিরাশ্রয়ী বাবার সাধনা''।
নেই কোনো নম্বর। নেই কোনো আশ্রম।
শুধু বিজ্ঞাপনে চড়িয়েছে রঙ।
মাথাতে খেলল আরেক চিন্তা।
মস্তিষ্ক বিকট শব্দ করছিল। নিজেকে যেন ভূলে গিয়েছিলাম।
সবগুলি দলা পেকে মুখে গুজেছিল
অনেক খেয়েছি চিন্তা। রক্ত মাংস হাড়হীন এক উদ্ভট স্বাদ।
একের পর এক জমছে, আর গোগ্রাসে খাচ্ছি।
হয়তো একদিন চিন্তার দূত আসবে;
আর বলবে,
"ইহা নও বত্স,তোমার বদ্ধ চিন্তায় এবার দিলাম বিরাম"।
সেই দিনের অপেক্ষায় আছি
আর নতুন চিন্তায় হাপাচ্ছি।