দুপুরের শান্ত রোদে কালো মেঘের ঝলকানি
ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ল ফোঁটা।
তার মাঝে বলে উঠল এক সদস্য।
সে সচল, সে ব্যক্ত
চেয়ার ও টেবিলের সাজে সে ব্যস্ত।
বিবাগীর মতো টেবিলে শুয়ে রয়েছে
প্লাস্টিকের চামড়ার ভিতরে ঢাকা।
গুনছে তার হিসেব।
কতগুলি পেড এটাকে আষ্টেপিষ্টে বেঁধে রেখেছে।
সে হয়ে যায় দমবন্ধ;
যখন তার উপর দুহাত ভরে দাবানো হয়।
কিন্তু এটাই তো ওর কাজ
কখনো এটা, কখনো ঐটা।
সে দেখেছে সমস্ত জগতটা।
একবার অফিস-কোর্টের দাওয়ায়
আবার পরীক্ষার হলে নিওন আলোতে ভরা নিস্তব্ধতা।
সে দিয়েছে সবকিছু, ধরেনি কিছু
শুধু খেয়েছে তার উপর ভেসে উঠা সংখ্যাগুলোর যোগ বিয়োগ।
ও বানিয়েছে ইতিহাস;
গণিতের জগতে সংখ্যাতত্ত্ব
কিংবা পদার্থবিদ্যার সূত্র
দেখেছে সবই কাছ থেকে।
কখনো ধপাস করে পরে যেতে
কখনো বা বখাটে ছাত্রদের কাড়াকাড়ি।
আজ সে ক্লান্ত
নির্বিঘ্নে রয়েছে একা
দিনভরের কাজে ক্ষয় পেয়েছে তার প্রাণ
পড়ে রয়েছ শুধু তার খোলসটা এখন।
যন্ত্রের পৃথিবীতে মানুষ তাকে বানিয়েছে যন্ত্রদূত।
নির্দ্বিধায় সে চলেছে
পুষিয়েছে সবাইকে
তার এই ব্যস্ততার মাঝে রোদের ঝিকিমিকি;
তাকে করেছে উত্তেজিত।
মানবজাতির ভর তার উপর সমাহিত
সংখ্যার আড়ালে শুধু কাদে তার নির্লিপ্ত কায়া।