মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি
কোথায় কীভাবে তা শুরু হল
  মনটাকে যেন মানাতে পাড়ি না।
  কথার আড়ালে একটা অভিযোগ আসে
     এক গভীর নিঃস্তব্ধতা কাজ করে যায়।
যখন দেখি ব্যাগ হাতে দওরুতে কাচা পড়ুয়াদের
  তবে বই খাতা নয়;
  ব্যাগভর্তি গোলাবারুদ নিয়ে
      পার্ক স্ট্রিটের চত্বরে।
শুনেছি কলেজের ভোটে আজ র‌্যাগিং হয়েছে
        যন্ত্রে গোলযোগ দেখা দিয়েছে
এটা নিয়েই চলছে ধুন্দুমার।
    ওরা চায়না নির্বাচন,চায়না আসন
  চায় শুধু তাজা রক্ত
    বুক কেঁপে উঠে হুরমুড়িয়ে।
যখন শুনতে পাই আওয়াজ
সে প্রচণ্ড
       বুকফাটা চইচির
বোমার তীব্র বিস্ফোট।
    তার গন্ধ আসছে ধেয়ে
রণক্ষেত্র আকার নিয়েছে বারুদের স্তূপে।
চারিদিকে লাশের ঢিবি।
       তাদের উপর ছড়িয়ে তাজা বারুদের গুড়ো
  তার কিছু আমার চোখে ঢুকেছে।
  চোখ কাতরাচ্ছে।
      সেই চোখে ভেসে উঠেছে লাশেদের আর্তনাদ।
       দেখি ওদের দগ্ধচিত্র
  ওরা আমার কাছ থেকে মুক্তি চাইছে।
  চাইছে ওদের হোক বিচার
  চাইছে স্বজন।
        দেখে যাক শেষবার, বুকে চাপা কষ্টে।
   হঠাৎ দেখতে পাই একটা লাশ লড়ছে
   ঘুম ভাঙা হাতে আমাকে
            চেপে ধরল।
    আমি গেলাম হকচকিয়ে
    রক্তে লেখা কাগজে দিল বিচারের চিঠি।
      চাইছে আসন্ন ভুধরে সংহার হোক
           ওর ঝরানো সেই রক্তে।
    মুক্তির দামামা এখন চারিপাশে।
    বারুদের স্তূপে ঢেকে আছে ওদের লাশ
           আমি জানি এটা আমার শেষ নয়,
         তবুও ভাঙা লাশে আমি,
    মৃতের স্তব গাইছি আমি শতবার
    মানাই শোক, হই কষ্টের ভাগীদার
          চাই শুধু একটুখানি জড়িয়ে ধরি একবার।