আয় রে আয় বাঘ মামা চাঁদ দেখে যা
চাঁদের মুখে গোপন হাসি,
                       সোনা ব্যাঙের ঝা।
রাশি রাশি জোনাকি পোকা করছে কলরব
নতুন নতুন গাছপালা দিচ্ছে
                         পাখিদের কূজন।
শেয়াল কাকা দিচ্ছে ডাক নিজের আপন রঙে
হাতি যেন চলছে তেড়ে;
                         সবকিছুকে মাড়িয়ে।
সিংহ যেন আসছে ধেয়ে, সবাই এখন পালিয়ে
দিচ্ছে গর্জন, শুনছে সবাই
                        সবকিছু তার আদেশে।
গাছের ডালায় চড়ুই পাখি করছে কিচিরমিচির
নিস্তব্ধ সাপ আসছে বেয়ে
                          তাকে খাবে বলে চিরচির।
রূপের পাতাবাহারে অনন্য লাগছে যেন খরগোশ ভাইকে
অরণ্যের সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠেছে
                          দিকে দিকে ছেয়ে আছে যে।
চারিদিক সবকিছু সচল
                   চলছে ধীরে ধীরে,
বৃদ্ধ কচ্ছপ হাপিয়ে চলছে
                     বুকে ভার নিয়ে।
ফড়িং সখা চলছে উপরে পাতার পর পাতা
প্রজাপতি চলছে উড়ে
                   যেন ফুলের উপর বসা।
অসীম খেয়ালিপনায় ঘেরা সুন্দর জগত লাগঝেনা যেন সত্য।
ফুলের আভাতে ঘেরা অরণ্যের ভুবন
                                 নতুনভাবে মত্ত।
নির্ঝরের মতো ধেয়ে আসছে কালবৈশাখি,সবাই তাতে ত্রস্ত
বিশাল বটবৃক্ষের নীচে আশ্রয় সবাই,
                               কেউ নয় শত্রু,শুধু মিত্র।
সবমিলিয়ে তৈরী একজোট
                    হবে অংশ যেখানে,
গড়বে সব এক হয়ে অরণ্যের ভুবনের তন্ত্র সেখানে।