শ্রাবণ ভরিয়ে দিশা হরিয়ে
     মোর অন্তরে দাও প্রাণ
অন্তরের রূপের প্রকাশে নব উদ্যাগ
দিয়োগো তোমার অন্তরের বাণী
নিয়োনা!
নিয়োনা এ প্রাণ ভরায়ে।
ধরিব যত তোমাকে আমি
তুমি তত দূরে জানি
মনের সেই স্মৃতিগুলোকে আঁকড়ে ধরে
অন্তর্যামী হয়েছো তুমি
তোমার নতুন প্রহরে যে তা গুনি।
ভোরের সেই ঝপসা আলোয়
আঁখিগুলি করে যেন ছলছল
শুধু নীরব দর্শক হয়ে আমি দেখি
মোদের পথ চলার সেই দিনগুলি।
জানি তুমি ধরা দেবে
ধরা দিয়েও পাইনি কাছে
অশ্রুসিক্ত পাঁজর নিয়ে
তোমার প্রতীক্ষায় যে থাকি।
রাতের আকাশপানে জ্বলছে শুকতারা
সাঁঝবেলায় সেই আলোর ঝলকি
সবই যেন এখন লাগছে ফিকে
অদৃষ্টের এই জড়তার লগনে
তুমি যে ছিলে মনের সেতু হয়ে
এখন যে তুমি অন্তর্যামী।
সেদিনকার বাজারে আমি কিনেছিলাম
         ফুলের থোকা
স্বপ্নের সেই সাজঘরে তোমার সেই চুলে
          গেথেছি খোঁপা
কিন্ত এখনি মম চিত্তে রয়েছি যে একা
অন্তর্যামী হয়ে দিয়েছো যে ব্যথা
নিঃশব্দে করি শুধু সমর্পণ।
কেন আমায় দিলে এত ব্যথা।
বাড়ির আঙিনায় ছিল এক ফুলের বাগান।
সেখানে ধরেছিল পাতাবাহার।
তোমার স্পর্শে সেগুলি পেয়েছে লোকান্তর
কিন্তু তোমার অভাবে এখন লাগছে
ফিকে ফিকে ঝরা পাতা।
তুমি যে হয়েছো অন্তর্যামী
শুধু রয়েছ যে অন্তরে।
আমাদেরি সেই নিদ্রাঘরে
ছিল একটা বাতি
তোমারি ছায়ায় জ্বলে উঠত একরাশি
এখন যেন বাতির আলো হয়েছে ক্ষীণ
তোমারি সেই শূন্যতায়।
ওগো তুমি হয়েছ যে অন্তর্যামী।