দিনটা ছিল সোমবার,
  আকাশটা মেঘাচ্ছল্য
দমকা হাওয়ার স্রোত বইছিল
সামনে চলছিল প্রতিবাদের মিছিল
শহর উত্তপ্ত, সবাই জাগ্রত
উড়ছিল তাদের কেতন।
আধবেলা চলছিল বন্ধের ডাক
মিছিলটা চলতে চলতে পৌছুল শহরের প্রাণকেন্দ্রে
আমি সবে বিদ্যালয় হতে বাড়ি ফিরছিলাম
হঠাৎ মোদের জাগ্রত শহরে বেজে উঠল সাইরেন।
সবাই ছুটোছুটি করছে
   ভিড়ে আটকে গেলাম।
দেখলাম একদল পুলিশের গুলিতে-
রক্তাক্ত শহরের প্রাণকেন্দ্র
আর আরেকদল বিদ্রোহীদের অমানবিক ধরে পেটাচ্ছে।
পুলিশের সেই জান্তব আচরণ আজ দেখতে পেলাম
আমি কোনরূপে গেলাম বাড়িতে
শহরে ১৪৪ ধারা জারি হয়ে গিয়েছে।
দোকান রাস্তা নীরব, এলাকা জনশূন্য
আমার একজন দূর আত্মীয়ও এই মিছিলে ছিল
সে কোনোভাবে বেচে ফিরেছে
তার মুখে শুনলুম যে
বিদ্রোহীদের তাজা রক্তে শহর লাল হয়ে গেছে
পুলিশ কাওকে মার্জনা করেনি
যাকে সামনে পেয়েছে নৃশংসতা দেখিয়েছে।
সেই তরুন ক্ষুদে বিদ্রোহীও বাদ যায়নি।
আকাশ গর্জে উঠেছে বিদ্রোহের ধ্বনিতে
নামল অঝোরধারে বৃষ্টি
সেই তরুনের নিথর দেহটি,
বৃষ্টির ধারায় হাসিমুখে যেন চেয়ে রয়েছে
আর যেন চিনিয়ে দিয়েছে পথ,আগামী প্রজন্মের তরুণদের।
প্রতিবাদীদের সামান্যটুকু দাবীও সরকার মানতে চায়নি
ওরা এত হিংস্র কীভাবে হতে পারে।
কেও বিদ্রোহীদের ডাক শুনলনা
লাশের ঢিবি হয়ে গেছে মোদের সোনার শহরটি
আজ শ্মশানে শুধু একের পর এক চিতা জ্বলছেনা
জ্বলছে বিদ্রোহীদের দেওয়া এই অতৃপ্ত ডাক
এখন প্রদীপ যেন নিভে গিয়েছে,
   শহরের সেই প্রাণকেন্দ্রের
তাদের কেতন যেন রক্তে মাখা ধূলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে।
আর যেন দেখিয়ে দিয়েছে,
   সরকারের সেই বন্ধ খাচার নিরঙ্কুশ মন।