চলো যাই মোরা এক অজানার দেশে
নীল সুতোটির হাত ধরে চালিয়ে যাব শেষে।
স্বপ্নের উড়ান কিসে
সেই দিনেরেই স্বর্গের দেশে প্রবেশ করলাম যেথা
বাজল গান ভেসে আসল সুর
       আর শুধু রামধনুর ছটা।
গোলাপি আকাশ ছিল সেদিন সেটা।
নেমে আসল যেন স্বর্গের সিঁড়ি
নীলপরীরা করল স্বাগত
সিঁড়ির উপরে রইল মোদের জন্য
   একটা বিশাল স্বর্গোদ্যান
সেখানে স্বপ্নের আগাম শিশুরা করছে খেলা
তারা প্রত্যেকে অপেক্ষারত।
কবে আসবে তাদের ডাক বাস্তবের দুনিয়ায়।
সেখানে রয়েছে এক স্বর্ণের নদী
যা চালাচ্ছে স্বর্গের পরীরা
সেই নদী মিশেছে এক বিশাল গুহার মুখে।
যেখানে বাস্তবের ভাল-মন্দের বিচার হয়।
গুহার অপর পাড়ে পড়ছে বৃহত্ ঝর্না
যার জলের ছটা মিশেছে গঙ্গার গোমুখের সাথে।
সেখানে রয়েছে এক মস্ত বড় ফলের পাহাড়
যার জড়িবুটির ছোয়ায় অসুরেরা পায় নবপ্রাণ।
সেই উদ্যানে রয়েছে বিশাল ফলের সারি
থোকায় থোকায় দাড়িয়ে রয়েছে।
যার ফলের টুকরো মরুভূমিতে পড়ে
আর তৈরী হয় মরূদ্যান।
সেখানে রয়েছে এক ধানের হরিত ক্ষেত্র
যার গোছা নিয়ে যাবে মেঘদূত
  স্বর্গযানে করে কৃষকদের দেশে।
স্বর্গের সেই সাগরে রয়েছে অসংখ্য ছোট দ্বীপ।
সেখানে রয়েছে লিলিপুটেরা।
যারা ক্ষুদ্রের মাঝে বৃহতের অতিথিকে স্বাগত জানাচ্ছে।
সমস্ত কিছু অতিক্রম করে দূরে রয়েছে
মেঘের সেই ভেলা।
যা নিয়ে গিয়ে বিদায় জানাবে
       মোদের স্বপ্নের সেই অজানা দেশের দোয়ার থেকে।