তোমারি সেই আগমনীর সুরে
সেজে উঠেছে আলোকমজ্জা
ধরণীর বহিরাগায়ে শরতের সুবাসে
বয়ে চলে কাশফুলের সজ্জা।
পৃথিবীর চারিদিকে জল স্থল মরু বৃক্ষ
পেয়েছে নতুন প্রাণ
কলিযুগের এই সময়ে এসেও
অসুরেরা খোজে অমরেত্বর সন্ধান।
সবদিকে বেজে উঠেছে শঙ্ক্ষধ্বনী
তোমার সমীপে অতিশয্যার ক্ষণি
কৈলাসের সেই বরফে ঘেরা ত্রিনয়নকে ছেড়ে
আস তুমি নিজ পিতৃগৃহে
সাথে আসে তোমার পিছু পিছু
কার্তিক গনেশ লক্ষী সরস্বতী।
সেজে উঠ নতুনভাবে
বাপের বাড়ি পেয়ে
পতিদেব প্রলয়ঙ্করী সেখানে দিন গুণছে
তোমাদের আসার প্রহরে।
এটাই তো তোমার সেই
অসুরেরা যখন অকল্যাণ সাধনে ব্যস্ত
তুমি তখন বজ্রমুষ্ঠতে ধারণ কর
ছন্নছারা সবাই
আকাশ বাতাসে ত্রিলোক গর্জে উঠেছে
তোমার এখন পদার্পণ
তুমি একহাতে ত্রিশূল দিয়ে করবে বধ
আরেক হাতে নিবে সেই ভয়ংকরী
পাপ নাশকারী চক্র
দংশন করো মহিষাসুরকে
জগতের অন্ধকারকে সমাপ্ত করে
দাও নতুন আলোর উজান।
প্রথমা দ্বিতীয়া তৃতীয়া পার করে যখন ষষ্ঠীর লগন
ঢাকের কাঠি এখন পরে গিয়েছে
তোমার মর্ত্যরূপ প্রকাশের ক্ষণ।
বাজছে ঢাক, দিচ্ছে ধুনুচি নাচ উত্সবের মাতেজে
মা দূর্গা উমাময়ী তুমি তোমার সেই পরিচিত সৌরভে
আর তো মাত্র তিনদিন বাকি
সপ্তমী অষ্টমী আর নবমী পার
অশ্রুসজল বুক নিয়ে দেব তোমায় বিদায়
দিয়ে যাবে সব কিছু
নিবেনা কিছু খালি হাত।
দশমীর সেই বিষণ্ণ দিনে তোমার যাবার পালা
কৈলাস যেন নতুনভাবে সেজে উঠেছে
তোমারি আসার সাড়া
যাবে তুমি মর্ত্য ছেড়ে কৈলাস ভূবন পার
পরের বছর শরত সমীপে আবার আসবে তুমি
মা উমা তুমি সকলকে সুস্থ রেখো
এটাই মোদের দাবী।