অভ্রদীপা,
কোথায় তুমি এখন
কেমন আছো সেখানে
ফিরে এসো।
কেমন ছিল সেই বীভত্স সকাল
অস্থির দুদণ্ড বেলার প্রহার
আমাকে না জানিয়ে
স্বপ্নের সোপান বেয়ে ভেলা সাজিয়ে
বিরহের বীজ অঙ্কুরিত করে
কোথায় হারিয়ে গেলে
তোমাকে অনেকদিন ধরে দেখেনি
একটিবার তোমাকে কাছে পেতে চাই।
ফিরে এসো।
কিসের অভাব ছিল আমায়
আজ কেন আমার আকাশ শূন্য?
হতাশার বজ্র আমার উপর ভেঙে পড়েছে
সেখানে রয়েছে এক দুষ্কর গোলকধাধা
রয়েছে বিস্তীর্ন সিঁড়ি।
পাড়ি দিয়েছি বহুকাল হয়েছে
আমার স্বপ্নকে মাড়িয়ে
নড়বড়ে আমার মূর্তিকে;
গড়িয়ে দিয়েছে নিমিষে।
কেন এই অভাব?
কেন এত খুনসুটি?
ফিরে এসো অভ্রদীপা।
যেওনা তুমি ওখানে
ঐ শুষে নেওয়া অন্ধকার জগতে
সে তোমাকে শুধু ভোগ করবে
তোমার আখের টুকু কেড়ে নিয়ে
ছুড়ে ফেলে দেবে।
ফেলে দেবে সেই আঁধার কালো
যেখানে আলোর দীপটুকু জ্বলে না।
ফিরে এসো তুমি।
ফিরে এসো।
ওখানে আর থেকো না।
আর লুকোচুরি খেলো না
আমার পরাণ সবসময় ছটফট করে
তোমার সেই আকাশ দেখতে
আমার পরাণ যেন বদ্ধ খাচা
তুমি আমার মুক্তি
আমাকে গড়িয়ে চলে গিয়েছো
হয়েছে সাতপিড়ি।
কিন্তু একটিবার আমাকে বলে যেতে
ঐ নীরবতার সকালে
আমার ফ্যাকাশে প্রভাতে
তোমার দুষ্প্রাপ্য ছায়া পেতে
ইচ্ছে করে
একটিবার ইচ্ছে করে।
আমার মাথার উপর বাতাস
তার উপর আকাশ
তার উপরে তুমি
মেঘের আড়ালে আমি লুকিয়ে তাই।