দিনভরা ক্লান্তি একরাশ দীপ্তি
জ্বলন্ত সেই অগ্নিপিন্ড
মাঝে পথিকের দৃষ্টি
একলা চলার মাঝে সেই পথে
চলন্ত ট্রামে করে দূর স্বপ্নের সেই খোঁজে
পৌঁছে গেলাম দূরপানে
নিশিরাত, আঁধারচাঁদ ধরা দেয় আকাশে।
চুপিচুপি মোর সাথী হয়ে।
একেলা যাত্রার সঙ্গী পেয়ে
চাঁদের আলোর স্নিগ্ধতা ভরিয়ে।
কোথায় চলে যাই যে দূরে
আঁধারের এই গাঁয়ে
নেই কোনো শব্দ,
নেই তপনের ঝরা আগুন
শুধু ভ্রমরের মত নিঃসঙ্গতার পথ পেরিয়ে
ফুলের রেণুর মত
আবাসের খোঁজে আছি।
চলছি যে চলছি অনেকটা পেরিয়ে
জঙ্গলে ঘেরা সেই দুর্নিবার পথের সাঁকো
নদীর স্রোতের ঝরঝরের শ্রুতি
সেই অমলিন প্রহরে
জোনাকিরা জানাল অভ্যর্থনা
পৌঁছুলাম গাঁয়ের সেই প্রবেশটাতে।
সারি সারি বাড়ি ঘেরা
একের পর এক
রাতের এই আঁধারে মিটমিট করে উঠল
দূর বারান্দার সেই বাতি
নির্জন সেই পথ
লোকের লেশমাত্র নেই
আমি যেন বিদ্ধ বকের সেই অবুঝ পাখি
অসাবধানতার এই আধারে ধরা দিলাম একাকী।
পাকা কাঁঠালের মনোরম গন্ধ
শিউলির সেই সুবাসে
বিহঙ্গদের সেই কিচিরমিচির
রাত্রির গভীরতা কাটিয়ে দিল মোর কাছে।
সামনের সেই সবুজ ক্ষেত
চাঁদনীপারা জ্যোৎস্না
নিয়ন আলোর একটি থাম
জ্বলজ্বল করে উঠল
টিপটিপ করে যেন বলল মোকে সদা
অজপাড়া গাঁয়ের সেই ঢেকে দিল দুর্বলতা।
যাবার শেষে আঁধার অনেক
নিশীথ দিল ডাক
আমার এই পথিকের শেষ নাই কিছু
পাব কী কোনো আশার হাত ?