তখন ছিল ভরা ফাল্গুনের সেই প্রভাত
দিনে দিনে তোমার সনে ভাসছিল সেই আকাশ
ঘরের সেই আয়নাটি একটু আলতো চেয়ে
মধুর স্মৃতি ভেসে গেছে মোর অন্তর সয়ে।
জীবন বড় হেঁয়ালিপনায় সেই নিতান্ত দরুন
মোর আবেগে আমি যে তোমার এখনও সেই তরুণ
কাটালতা বিদ্ধ পায়ে তোমার যে ছাপ
মোর অব্যক্ত কথায় ধরা দিয়েছে তোমার সেই অভাব।
প্রথমবার চরণবরণে ভরে উঠেছিল মোর গৃহের সেই ভূমি
স্বমহিমায় ধরা দিলে তুমি যে আমার সেই তুমি।
যখন খেলছে তড়িৎ মোর বাগানের সেই ফুলে
মোর বলা একটি কথা-
কথা যেন বলতে পারিনা কী ভূলে
অব্যক্ত হয়ে রয়ে গেল মোর কথাটি তোমার আঁচলে।
তখন ছিলে তুমি তালদীঘির সেই ছোট্ট তরুণী
নিজের খেয়ালে দেখছিলে ঘাটের চড়া সেই পানকৌড়ি
সেই তরুণী আসল সেজে ঘর আলো করে
মোর গহীনে মোর চিত্তে নিজের সুরে।
কখন যেন সে বলা তোমার কাছে
অব্যক্ত রইল আমার দেখা তোমার সেই তারুণ্যে।
কখন যে আমার সেই বলাটা জমেছে মনে
সন্তর্পণে ছড়িয়েছে মোর দেখা
জমেছে ধূলা মোর না বলার সেই কোণে।
কখন যেন কিভাবে চলল সময় প্রবাহ
স্মৃতি হয়ে পড়ে রইল না বলা অব্যক্ত নির্বাহ।
তখন ছিলাম সাজঘরেতে সেই আমি
মুখে হাঁসি একরাশ খুশি,
মোর চোখেতে দেখছ তুমি,
স্বপ্নে ভেজা সেই সকালের সেই আমেজ
কথা ছিল মোর কাছেতে যে সতেজ।
কিন্তু তোমায় আর বলতে পারলাম না গো
ব্যক্ত রইল তোমার দেখা সেই সকাল,
স্বপ্নে ভেজা সেই মুহূর্ত
শুধু অব্যক্ত রইল আমার মনের চাওয়া।
সেই প্রভাতে মোর লগনে তোমার দেখা
সদা আমি রইব পাশে,
শুধু বলতে পারলাম না মোর প্রভাতের সেই কথা।