সমুদ্রের তীরে ভেসে আসা ঐ যে ঝিনুক
ঠিকানা তার অজানা
কখনো সমুদ্রের তলায় সেই প্রবালদের সাথে
আবার কখনো নামহীন দ্বীপে বালুচরের সঙ্গে
গায়ে শক্ত বর্ম
ভেতরে নড়েচড়ে প্রাণ
ছোট্ট সেই কায়া
চলতশক্তিহীন,
কিন্তু নয় সে জড়।
তার গর্ভটা সে তাই বলে
ধারণ করে সেই মনিমুক্তার বহর
যা দিয়ে মানুষেরা বানায় মালার গহনা।
মানুষেরা ঝিনুককে ব্যবহার করে কতনা কিছু
একসময় তার ভিতরে রসালো খাদ্য হিসেবে
আবার কোনোসময় বিজ্ঞাপন ও মেলার বাজারে
         রকমারি সামগ্রী হিসাবে।
সচেতন তোমার শরীর
   অচেতন তোমার খোল
যা পরে থাকে সমুদ্রের পাড়ে
পক্ষীরা নিয়ে যায় নিজেদের আস্তানা বানাতে।
কিন্তু তুমি যে অবিনশ্বর
নেই যে তোমার কোন প্রতিরূপ
সৃষ্টির ধারায় তুমি হয়েছ
          মানুষের প্রসাধনী রূপে
আবার গলার হারের মুক্তার পাহাড় রূপে।
তুমি আজীবন ব্যবহৃত হয়ে চলেছ
     আর নিজেকে উজার করে দিচ্ছ।
তুমি নয় যে থেমে।
সময়ের দোরগোড়ায় তুমি এখন হয়েছ
                   সবার চেয়ে দামী
তুমি সেই অবিনশ্বর তুমি সেই সামুদ্রিক হীরা
                মণিমুক্তার ঝিনুক নামী।