কে জানি প্রথম এটা শুরু করেছিল
আবহমান কাল ধরে চলে আসছে।
শুরুটা ঠিক কবে হয়েছিল সেটা বলা মুশকিল।
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে চলে আসা কলঙ্কের ছাপ আজও অব্যাহত।
রাজারা নিজেদের মঙ্গল কামনায় -
নিজের কল্যাণার্থে এটা চালু করেছিলেন।
দিনের পর দিন ধরে এটা চলে আসছে।
কিন্তু এটার গুরুত্ব টা ঠিক কোথায় কেউ জানে না।
কেন মিথ্যের অহংকারে এই অবলা জীবগুলির প্রাণ নেওয়া হয়।
এই বলিপ্রথার কী আদৌ কোনো গুরুত্ব আছে।
বলতে গেলে না!!!
এটার কোন গুরুত্ব নেই।
নিজেদের মঙ্গলের জন্য অপরের প্রাণ নেওয়ার অধিকার মোদের কে দিল ?
প্রথমে বলি হত মোষ, তারপর ছাগ ;
মনুষ্যত্বের হিসাব তো তখন পার হয়ে গিয়েছিল যখন শুরু হয়েছিল নরবলি।
বলির রক্তে ভেসে যেত মন্দিরের সেই প্রান্তর।
স্বজন হারানোর অশ্রুতে ভেসে যেত বুক,
হত তাদের কথা চিন্তা।
কিন্তু এই অবলা জীবেরা যাদেরকে মানুষ গৃহপালিত বানিয়ে রেখেছিল -
তাদের দেখারও কেউ নেই, বলারও কেউ নেই।
একের পর এক সারিবদ্ধভাবে
থাকে নিরীহ ছাগগুলো,
দর্শক আনন্দে ব্যস্ত কার পর কোনটা আসবে
রয়েছে তার হিসাবগুলো।
সোজা আসে বটির কাছে একের পর এক,
তারপর হয় ভবলীলা সাঙ্গ।
নিজ স্বার্থে হয় একের পর এক হত্যালীলা,
কবে সভ্য সমাজ বুঝবে তাদেরও আছে মায়া।
মানুষের সচেতন দিক যবে হবে প্রকাশ,
এই অভিশপ্ত হত্যালীলা তবে বন্ধ হবে সবে কার।