রহিবে না রহিবে
ধরণী যতন
শান্তির মেলায় ফিরবে কখন
মোদের ভালবাসার সেই বন্ধনে
রহিবে হে পাষাণ হৃদয়
রহিবে হে বসুধা
সৃষ্টির বুক স্নাত
বয়ে চলেছি যখন।
পেয়েছি অমৃতসুধা তোমার বুক সিঞ্চনে।
রহিবে হে জননী
রহিবে হে কোজাগরী
তোমার কোমল কোলে
অমর হাতের স্পর্শ
মিলবে না যে আর এমন।
রহিবে হে কৃষক বন্ধু
রহিবে হে কাস্তে
তোমার উদার হাতে
স্বপ্নের সোনার ফসল ফলবে
দেখবে যে জগৎবাসী।
রহিবে হে মরুপ্রান্তর
রহিবে হে জঙ্গলদেবী
তোমার নিদারুণ ছায়ায়
ধন্য যে অরণ্যবাসী
দেখবে সূর্যের ছায়ার লগনে।
রহিবে হে বালুচর
রহিবে হে নুরি কাকর,
সাগরের ঢেউয়ের অতল ছোঁয়ায়
স্নিগ্ধতা পাচ্ছে তোমার গাত্র
জলের স্রোতের সজীবতায়।
রহিবে হে সূর্য
রহিবে হে চন্দ্র
তোমাদের আকর্ষণ চলছে-
পৃথিবীর অক্ষ
চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণ
সবাইকে নিজের স্পন্দনে।
রহিবে হে হরিৎ ক্ষেত্র
রহিবে হে মেঘের গর্জন
দুজনের মিলনে পাবে সবুজ প্রাণ
বৃষ্টির অঘোর ক্রন্দনে।
রহিবে হে মরুপ্রান্তর
রহিবে হে মরুদ্যান
পথভ্রষ্ট পথিকের কাছে এটা যেন-
জীবনের উদ্যান।
প্রকৃতির নিয়তি যেখানে।
রহিবে হে গুহা
রহিবে হে নিশাচর
দিন পোহালেই তাদের আনাগোনা
বুঝবে নিশীথের কালো অবয়ব
তাদের নিস্তব্ধতার স্বযত্নে।
দেখাবে হে অনার্য
শুনবে হে আর্যবাসী
প্রকৃতির এই লীলার ভূবনে
কার দায় কত বেশী।
রাজত্বের সন্ধিক্ষণে।
বইছে হে পবন
হে নিরাভরণ
নিজের ছন্দের জাদুতে তখন
নিয়ে যাচ্ছ ধূলি
পাচ্ছ পাখির সারি
অতল গগনে।