হায় রে এ অভাগিনী কেমন আছিস বটে
তোহার সহিত মুর সম্বন্ধ চিরকালের পটে
এলি নতুন বউ হইয়া মুর অভাবের সংসারে
দেখবি না তুই কোন জনমের প্রতিশোধ পেলি তরে।
ছিলি তুই লাজুক কন্যা,
      পানপাতার দৃষ্টি হটে
মুর ঘরেকে করলি নতুন আলোক,
      দিলি হাঁসির ছটে।
ঘর ছিল ছোট্ট মুদের,
   শালপাতার ছাউ দেওয়া
শাক পাতা, খড়কুটো জ্বালিয়া
   চলিত মুদের দাওয়া।
পুকুর পাড়ে শাপলাপাতা তুলিয়া আনতিস চিনিয়া
  তাহার উপইর অন্ন ছাকিয়া ফ্যান দিতিস দুই বেলা।
মন ছোয়াচে তোর বুঝিয়া হাকতিস বেলাভার
  তাহার উপইর চেতি তোহার অভাবের অভিলাষ।
আসিল গেল কিছুকাল পর যখন পোয়াতি হইলি
  তোহার জীবনে যেন ভাঙিয়া পড়িল অমাবস্যার তরী।
তোহার কোল আলো করিয়া আসিল মুদের ফসল
   কী করলি তুই যে পাপ, তোহার উপর বেমো চড়িল।
বিছানার উপর কাতর প্রাণ,
     তুই ছিলি শয্যাশায়ী
মুহার ফসল চিনিয়া দিল,
     তুই যে চির অভাগিনী।
আসিল সেই কালরাত্তির যখন তুই গেলি চলিয়া
  প্রাণভিক্ষা যেন চেয়েছিলি মুর দুহাত জড়িয়া।
আজকে তুই নেই মুদেরে
     মুই, মোর সম্পদ একা মান
মুহার অভাবের তাড়নায় যেন ইতি টানলি,
    তুই ছিলি মুর অভাগিনীর দান।