দিদির বিয়ে ঠিক হয়েছে
উড়ু উড়ু করছে মন,
কবে যাব, কী যে খাবো
পরবো কী আর তারি সন;

এমন কথা বলে কজন
যেমন, ভাগ্নে পুটু বলল আজ,
বলে, ধুতির সাথে নাগরা পায়ে
পাঞ্জাবীতে জমবে সাজ।

আমি বলি দৌড়-ঝাঁপে
বিষম হবে বিপদ ভাই,
তুই যা তবে এমনি ভাবে
বলে, ভাগ্নে আমার রেগে কাঁই ।

ঠিক আছে ভাই কদিন কাটুক
আসুক সেদিন জমবে সাজ,
আর মজার মজার খাবার খাবো
ভাবতে মনে নেই কো লাজ।

রসগোল্লা, পানতুয়া আর
ভিয়েন হলে বোঁদে হবেই,
হাঁড়ি হাঁড়ি গরম দুধের
জমবে রাতের টাটকা দই ;

পড়ায় মোটেই মন বসে না
মনের মাঝে বিয়ের ভোজ,
“পরীক্ষাতে খাবী খাবি”
বকুনি মায়ের খাচ্ছি রোজ।

জেম্মা-জেঠু, কাম্মা-কাকু,
ঠাম্মা-দিদু  আরও সবাই,
দাদা, বনু, মামা, মামী,
পিসি, মাসি আর মেসোমশাই;

সকাল বেলার টিফিন হল
লুচির সাথে ছোলার ডাল,
লম্বা-লম্বা  বেগুন ভাজা
শেষে বোঁদে, মিলবে তাল;

মুগের ডালে রুইয়ের মাথা
আর পুঁই এর সাথে চচ্চড়িতে,
মাছের গাদা-পেটি-ল্যাজা
দুপুর বেলা ভাতের পাতে;



রাতের মেনু লম্বা বেজায়
নুন লেবু তার শুরুওয়াতে,
কচুরী আর স্টাফ-পটেটো
চানা-মশালা তারি সাথে।

ফিস-ফিঙ্গার গরম গরম
কাসুন্দি আর স্যালাড দিয়ে,
পিছন পিছন পাবদা-ফ্রাই আর
ফিস-পাতুরি আসছে নিয়ে;

মাছের শেষে রঙীন বেশে
পোলাও-রানী যেই না এল,
সগৌরবে মটন-কষা
ভোজন-মঞ্চে হাজির হোল;

চাটনি, পাঁপড়, রসমালাই,
কাঁচাগোল্লা  জলপান,
বাটার-স্কচের আইসক্রীম, আর
সবার শেষে মিষ্টি পান।

কিল গুমাগুম পিঠের উপর
স্বপ্ন ভঙ্গ  কাটলো রেশ,
মা রেগেছেন না পড়াতে
এবার পালাই ভোজন শেষ॥

===============
সিতু