হ্যাঁ, সে বলে গিয়েছিলো,
তোমার খুব প্রিয় সেই টবের গোলাপ চারা টা
যার ছেঁড়া বৃন্তকে সাক্ষী রেখে প্রথম বারের জন্য বলেছিলে 'ভালোবাসি' ;
তাকে শ্রাবন ছোঁয়ার আগেই সে তোমায় ছোঁবে।
না, সে ফেরেনি।
তবুও টবের মাটিতেই এক এক করে কতো গুলো শ্রাবণ কে
আগ্রহে আমন্ত্রণ করে গেছে আহত গোলাপ চারা।
হ্যাঁ সে বলেছিলো,
কোনও এক দোলের সকালে বাসন্তী রং এর শাড়ি পাঞ্জাবী পরে দুজন
এক বিধবার বিবর্ণ আঁচল থেকে রং চুরি করে আকাশে ছড়িয়ে চিৎকার করে বলে যাবো;
প্রেমের কোনও রং হয় না।
না, তার সাথে আর বসন্ত দেখা হয়নি।
আর সে বিধবা মুখে এক প্রেমিকের অ্যাসিড অভিশাপ মেখে,
সাদা আঁচলেই নিজেকে লুকিয়ে নিয়েছে।
হ্যাঁ, সে বলেছিলো;
শীতের আঁচড়ে লাল পলাশের শেষ পাতা টা খসে পড়ার আগেই,
ফিরে এসে একটা চিরসবুজ মেহগনির গল্প শোনাবে তোমায়।
না, সে কোনো গল্প খুঁজে আনেনি।
আর ঝরা পাতার মোহ ছেড়ে নরম সবুজ আঁকড়ে,
পলাশের শাখা প্রশাখা বারে বারে সেজে উঠেছে।
হ্যাঁ, সে কথা দিয়েছিল;
হেমন্তের কুয়াশা তোমার জানালার কাঁচে দুঃখ আঁকার আগেই,
ঘরের সবকটা দেওয়াল পুড়িয়ে যাবে প্রেমের উষ্ণতায়।
না, সে ফেরেনি।
আর তুমি উষ্ণতা ভুলে ঘাসের শিশিরে পা ধুয়ে আজ শিহরণ খোঁজো।
হ্যাঁ সে ফেরেনি..
ওরা ফেরে না….
তবু কিছুই থেমে থাকেনি……
কিছুই থেমে থাকে না…………