বন্দুকের কান্নায় ঘুম থেকে উঠে রোজ
যারা নাগরিক কোলাহলে গানের জন্ম দেয়;
তারা পুড়তে শিখে গেছে, আলো উপহার এনে দেয়।
তাদের অসহায় বলি কীভাবে?
তার পোড়া গল্পের ছাই, বাতাস ও মুখে তুলে নেবে না জেনেও
যে শহরের সব আলোর নীচে মহাকাব্য লেখে;
সে লড়াই শিখে নিয়েছে, সে যুদ্ধে জিতে গেছে।
তাকেও হারানো যায়?
ঝিনুকের খিদেয় সমুদ্রের নুন হজম করে নেওয়া মানুষের ভিড়ে
যে শুধু বালি জমা করে, ঢেউয়ের হিসেব কষে;
সে চাইতে শিখে গেছে, সে পাওয়ার আনন্দ জোগাড় করেছে।
তাকে নিঃস্ব বলা যায়?
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা খুনের শীতলতায়
যে ভুল আবেগ, ভুল মানুষ কে উষ্ণতা দিতে বুক উজাড় করে;
সে ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছে, সে বাঁচাতে শিখে গেছে।
সে প্রেমিক কে ব্যর্থ বলি কীভাবে?
মৃত্যুর সাহায্য চেয়ে চোখের জলে ভেজা নশ্বরের দেশে
অলস অসুস্থতায় ও যে আঁকড়ে ধরার স্বপ্ন দেখে;
সে জীবন চিনে নিয়েছে, সে বাঁচতে শিখে গেছে।
মৃত্যু তাকে কেড়ে নেয় কীভাবে?