হে মৃন্ময়ী,
তোমার বাগানের ফুলে তোমাকেই পূজি আমি দিন মাস ভর।
তোমার যে অপরূপ রূপ, তাই পূজিতে
দিবানিশি খুঁজি অর্ঘ্য দেশ দেশান্তর।
কত ফুলে কত ফলে অর্ঘ্য দানিলাম
মৃন্ময়ী তোমার চরণতলে
তবু মিটে না আশা,
আঁখি লালে লাল হয়ে যায় জলে।
মৃন্ময়ী দাও মোরে সে জ্ঞান,
কোথা পাবো সে অমূল্য রতন
কিসে পূজিলে অশান্ত এ প্রাণে
পাবো ক্ষাণিক সুখ,
কিসে আমি তুষ্ট
হবো? দাও সে জ্ঞান।
মৃন্ময়ী, তোমার রশ্মিতে ভরে গেছে
আমার সকল দুয়ার,
ভরে গেছে শত যাতনার ক্লেশে ভরা এ হৃদয় সুখের সমুদ্রে।
মৃন্ময়ী, আমি ধূলায় গড়া অতি ক্ষুদ্র,
এত করে বাসিলে ভাল,
তবু তোমার
বিমুখ হয়ে কেনো জানি চলে যাই
নষ্টদের ভীরে।
আমায় ক্ষমা করো হে মৃন্ময়ী তোমার আপন গুণে।
মা যেমন করে ক্ষমা করে সন্তানেরে দশ মাস গর্ভে ধরার পরে প্রথম মুখ দেখে।
মৃন্ময়ী, তোমায় পূজিতে চাই আমি
এমন কোনো ফুল আর অর্ঘ্যে ;
যা পৃথিবীর বুকে কোনো জীব পারে নি আজও।
মৃন্ময়ী, আর কত? তোমার বাগানের ফুলে ফলে অর্ঘ্য দানিব তোমারি চরণে।
আমার এ হৃদয় খানি ফুল করে দাও এক মুঠো সৌন্দর্য দিয়ে ।
আমি সে ফুলে তোমারি চরণে পূজিতে চাই ;
তারপরে একটু নিতে চাই ওই চরণের ধূল।
রচনাকাল :
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
তালুকদার বাড়ি, রাজগঞ্চ।
প্রকাশ :
রাজশাহীর কণ্ঠ
২৮ জানুয়ারি ২০১৭