তার মাইরের ইস্টাইলে বুঝতে পেরেছি,
তিনি আমাকে তালাক দিবেন।
তাই নিজেই তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
হ্যাঁ, এ নিয়ে আমাদের কিছুদিন বিরতি চলছে এক সাথে রাত্রিযাপনের।
সর্বশেষ তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
আমি তার ভাত খাবো কি না?
বেশ, আমিও তাকে জানিয়ে দিলাম,
খাবো, তবে শর্ত হলো তোমার দাসী হয়ে থাকতে পারবো না।
আমার চলা ফেরা, কথাবার্তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবা না।
এমন কী আমি কার সাথে শুইলাম,
কার হাত ধরে পার্কের সমস্ত রাস্তা চষে বেড়ালাম।
এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
আমার ইচ্ছা হলে তোমার সাথে শুইবো,
না হলে তুমি আমাকে স্পর্শ করবে না।
তোমরা কী সব আজব মন্ত্র জপে
একটা সম্পর্ক গড়ো,
তাতে আমি মোটেও বিশ্বাসী নই।
আমি জানি, দুজনের সম্মতিতে শুইলে কোনো পাপ হয় না।
পাপ হয়, জোর পূর্বক কাউকে শুইতে বাধ্য করলে।
তোমরা পুরুষ, তোমরা ধর্ম বণিক।
তোমরা ধর্মের আইনকে নিজেদের মত করে গড়েছো,
এ আইন আমি মানি না।
আসলে, তোমাদের আমি দোষ দিচ্ছি না।
তোমাদের কোনো দোষ নেই।
" ইতিহাস সবসময় বিজয়ীর পক্ষে রচিত হয় "।
তোমরা বিজয়ী, তাই নিজেদের মতো করে গড়েছো।
আচ্ছা, তুমি এবং তোমরাও তো জানো,
আমি যা বলছি তা পুরোটা সত্য।
তবে কেনো আমাকে চরিত্রহীনা বলছো?
কেনো বেশ্যা বলছো?
জানি উত্তর দেবে না।
তবে কিছু বলতে চাও নিশ্চয়!
কী বলবে? এক তালাক! দুই তালাক!! তিন তালাক!!!
বলো, বলো আমায় তালাক বলো।
যেতে দাও নষ্ট বন্ধন ছেড়ে একটা পবিত্র বন্ধনের দিকে।
২৯ নভেম্বর ২০১৬ খ্রী.
রাজগঞ্চ বাজার।