এসো হে শীতলা রূপসী
তোমার শীতল অঙ্গ নিয়ে আমার বাসরে,
এসে তুমি ঝাপটে ধরো আমায়,
পুরাও কাঙ্খিত কামনা।
আমার সমস্ত দেহ মন ভরে দাও
রূপসী তোমার শীতল ছোঁয়ায়,
ভরে দাও বহুদিনের তৃষ্ণার্ত আমার অঙ্গসমূহ।
শিশির হয়ে স্পর্শ দাও, আমার উষ্ণ কায়ায়।
স্পর্শ দাও আমার ঠোঁট যুগলে
যেনো ফেটে চৌচির হয়।
তপ্ত হয়ে আছি পৃথিবীর হাঙ্গামায়
বহুকাল ধরে,
তোমার আগমনের পদধ্বনি শুনে নড়েচড়ে বসে,
অামি অধীর আগ্রহে তোমার স্পর্শের আশায় চুপচাপ বসে আছি নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়।
তুমি চুপিচুপি এসে জুরিয়ে দাও
আমার পৃথিবীর সমস্ত তপ্ততা।
তুমি আসলেই আমি জড়োসয়ো হয়ে কম্বলের নিচে যেতে চাই ঘুটিয়ে সকল ব্যস্ততা।
তারপর তোমার নিয়ে আসা খেজুর রস, পিঠাপুলি খেয়ে নেভাতে চাই ক্ষুধাতুর উদর খানি।
শীতলা রূপসী অপেক্ষার প্রহর বড্ড কষ্টের,
আর কতো? তুমি এসে ভেজাও আমার তৃষ্ণার্ত অঙ্গসমূহ
দিয়া তোমার শীতল পানি।
( ১৩ অক্টোবর ২০১৬ খ্রি. দৈনিক আমাদের নাঙ্গলকোট পত্রিকা ছেপেছে)
( "নারী ও প্রকৃতি" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত)
১৩ অক্টোবর ২০১৬ খ্রি.
কীর্তিনাশার পাড়, রাজগঞ্জ।