দীর্ঘ মাস অপেক্ষার পর তুমি এসেছিলে নবরূপে
ঠিক যেমন করে আমি চাইতাম অন্তরের অন্তস্তল থেকে।
তোমার সৌন্দর্যের আলোয় আমার চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল,
মনের আকুতি বুঝে তুমি অালতো করে দিয়েছিলে চুম।
আমার সমস্ত দেহ মন চমকে গিয়েছিল
কিন্তু চুমের শব্দে আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখ খুলে গিয়েছিল।
চোখ খোলাতে তুমি থমকে গিয়ে বলেছিলে
কবি, চোখ বন্ধ করো।
আমি সরল মনে চোখ বন্ধ করতেই
তুমি ভেসে উঠেছিলে আমার অন্তরের চোখে।
মনে হয়েছিল তোমার এ সৌন্দর্য কোনো কালে কোনো কবি দেখেনি।
দেখেনি জীবনানন্দ ঠাকুর কিংবা পাড়ার জসীমুদ্দী।
কেনো তুমি এই বাউণ্ডেলে ছোরার প্রেমে পড়লে,
বলতে পারো রূপসী।
কি আছে আমাতে, কি আছে আমার?
রূপসী তোমায় একটা কথা বলি,
রাগ করবে না কিন্তু।
সবাই বেনিতে লাল ফুল পড়ে,
কিন্তু তুমি ধবধবে কাশফুল কেনো পড়লে?
জানি তুমি সুন্দর, তোমার রূপ বর্ণনা কেউ দিতে পারে নি।
তারপরে আবার সবার থেকে আলাদা করে কাশফুলে সেজেছো।
জানো আমি উপমা খুঁজে পাই না।
কি দিয়ে দেবো তোমার রূপ বর্ণনা?
ঐ তোমার সখি এসে শিষ দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তোমার ছোঁয়া আর পাচ্ছি না কেনো?
তুমি কি চলে গেলে? আমায় ফাঁকি দিয়ে!
হ্যাঁ চোখ খুলেই দেখলাম তুমি চলে গেছো।
তুমি সত্যি ছলনাময়ী।
তাই তো সেদিন তোমার পুরোনো প্রেমিক জীবনানন্দ বলেছিল,
" আমায় এক বিন্দু সুখ দিয়েছিল নাটরের বনলতা সেন "।
তুমি নাটর থেকে কীর্তিনাশার পারে এসেও এক বিন্দু সুখ দিয়ে চলে গেলে।
সত্যি রূপসী তুমি ছলনাময়ী।
১২ অক্টোবর ২০১৬ খ্রি.
কীর্তিনাশার তীর, রাজগঞ্জ।
( "নারী ও প্রকৃতি " কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত)