কুরবানির হাটের গরুটার মতন
আমার পাছায়ও থাপ্পড় মেরেছিলে,
গরুর মতন নাক কান চোখ মুখ হাত পা
সব ধরে ধরে দেখেছিলে।
তারপর আমার মালিকের সাথে
কি সব কথা হয়েছিল জানি না,
অামাকে আমার মালিক তুলে দিল তোমার হাতে।
সবাই যখন আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল,
তখন খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার।
গরুটা যেমন হাম্বা হাম্বা রবে কেঁদেছিল
তার মালিকের কাছ থেকে নিয়ে আসার সময়।
তেমন আমিও কেঁদেছিলাম মা মা রবে।
গরুটার স্বজন যেমন একবার তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিছিলো।
আমার স্বজনও তেমন একবার তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
গরুটার মালিক মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মুচকি মুচকি হাসছিল।
আমার মালিকও মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মুসকি মুসকি হাসলো।
যেন দুই মালিকই হাফ ছেঁড়ে বেঁচেছে।
কারণ গরু ও মেয়ে ঘরে রাখা বিপদ।
গরু আর মেয়ে ঘরে রাখলে
যে কোনো সময় চোর ডাকাতের হানা পরতে পারে।
তোমাকে উত্তম পুরুষ ভেবেই তো
মালিক আমাদের কে তোমার হাতে সঁপেছিল।
তুমি গরুটাকে কত আদর যত্নে রাখো,
কয়েল জ্বালিয়ে দাও, পিঠে হাত বুলিয়ে দাও।
আর আমাকে কেন অনাদরে, অবহেলায়
শত নির্যাতন করো?
কেন রাতে গরুর ঘরে কয়েল দিয়ে
আমার পাছা উদোম করে রাখো?
কেনো গরুর পাইচোনের পিটান আমায় পিঠে মারো?
কেনো তুমি বেইনসাফি হলে?
কেনো তুমি রোজ আমায় কাঁদালে?