রাত শেষে ছুটে আসে হিমভাব গায়,
ভোরের শিশির দেখে মন ভরে যায়।
কাঙ্ক্ষিত এই রূপ হৃদয়ের মাঝে,
হেমন্ত আজ যেনো শোভাময় সাজে।

শেষ রাতে কড়া নাড়ে সুশীতল ভোর,
শিশিরের কণা এসে মনে বাজে সুর।
ধীরে ধীরে উঠে আসে ঝলমলে রবি,
এটাই তো ঘোর লাগা বাংলার ছবি।

হিম হিম ভাব গায়ে ঝলমলে আলো,
ঝিরিঝিরি বাতাসটা কতো লাগে ভালো।
স্বচ্ছ শিশির ভেজা ঘাস আর ফুল,
কাছে টানে হেমন্ত মনে লাগে দোল।

ফুল-পাতা ধরে রাখে ফোঁটা ফোঁটা জল,
সকালের মিঠা রোদে করে ঝলমল।
শিশিরের ছোঁয়া পেয়ে ঘাসগুলো হাসে,
খালি পায়ে হেঁটে গেলে শিহরণ আসে।

পরিযায়ী পাখি এসে কলরব তুলে,
দলবেঁধে ঠাঁই নেয় ভিন দেশ ভুলে।
বরফের দেশ ছেড়ে পাখা মেলে উড়ে,
ছুটে আসে কতো পাখি কতো দেশ ঘুরে।

সুশীতল জলকণা পাখা মেলে নাচে,
উঁকি দিয়ে রবি বলে আছি আমি কাছে।
রবির কিরণ আনে উত্তপ্ত বায়ু,
ধীরে ধীরে শেষ হয় শিশিরের আয়ু।