সবুজ শ্যামল আর শোভাময় বীথি,
উদাসীন মন থেকে মুছে নাতো স্মৃতি।
আম কলা জামরুল সেইসাথে তাল,
কাঁঠালের ঘ্রাণ নাকে করে গোলমাল।

পুকুরের পাড় ঘেঁষা জাম গাছে বসে,
কালো জাম খেয়ে মুখ লুঙ্গিতে ঘঁষে,
লাফ দিয়ে জলে নেমে কেটেছি সাঁতার,
মধুময় স্মৃতি মনে পড়ে বারবার।

ঝড়ের কবলে পড়ে আম যেতো ঝরে,
প্রীত মন নেচে যেতো কুড়াবার পরে।
বড়ুই তলায় ছুটে গাছে ছুড়ে ঢিল,
খেতে হতো ছুটে আসা বানরের কিল।

তেঁতুল তলায় ভরা গাছ পাকা ফল,
চেয়ে দেখে জীভ ভরে এসে যেতো জল।
মিষ্টি তেতুল আর লবণের দানা,
হয়ে যেতো মন ভরে চেটেপুটে খানা।

ক্ষেত ভরা আলু মূলা খেসারির ডাল,
দলবেঁধে তুলে নিয়ে ঘরে দিত টাল।
গাছ থেকে পেড়ে এনে ডাব থেকে পানি,
পিপাসাটা মিটে যেতো যার যতখানি।

গাছপাকা পেঁপে আর বাটা ভরা পান,
খেয়েদেয়ে দাদা-দাদি জুড়ে দিত গান।
গাছে গাছে লটকন ছড়া খেত দোল,
পাকা ফল ছিঁড়ে নিতে করি নাই ভুল।

সারাগাঁয়ে ভাতে মাছে ছিলো না অভাব,
যে যেমন খেটে যেতো তত তার লাভ।
মানুষের সাথে আজ বাড়ে বাড়িঘর,
ক্ষেত কমে কেটে যায় অভাবে বছর।

গ্রাম জুড়ে সেই দিন আজ আর নেই,
জনতার পদভারে কূলহারা খেই।
গাদাগাদা পোলাপান করে খাই খাই,
মনে ভাসা স্মৃতি ছাড়া আর কিছু নাই।