তীর ঘেঁষা বালুচরে কূল ঘেঁষা জল,
ফোঁসে উঠে মাঝরাতে ভাসে সমতল।
সুনসান নীরবতা নীশি রাত হলে,
হাতিয়ার বাতিগুলো মিটিমিটি জ্বলে।
তিন নদীর মোহনা হাতিয়ার সাথী,
সাগরের কূল ঘেঁষে রাতে জ্বলে বাতি।
উজানের জল নেমে ভাসে উপকূল,
জোয়ারের স্ফীত জলে মিশে খায় দোল।
মোহনায় জল নেমে ঘুরপাক খায়,
মিঠা জল নোনা জল এক হয়ে যায়।
জেলেদের আনাগোনা রাত হলে বাড়ে,
ট্রলারের জালগুলো স্ফীত জলে ছাড়ে।
ভাটা পড়া জল নামে প্রতিদিন ভোরে,
ধীরে ধীরে নেমে যায় তীর থেকে দূরে।
জল যতো নেমে যায় তত হয় নীল,
বালি ঘেরা উপকূল করে ঝিলমিল।
ভোর হলে উঠে যায় ঝলমলে রবি,
মন জুড়ে শোভা পায় হাতিয়ার ছবি।
উষ্ণতার ছাপ পড়ে দুপুরের পর,
কূল জুড়ে পড়ে থাকে ধূধূ বালুচর।
দিনভর ভাটা জলে মন থাকে চুপ,
দিনে নয় রাতে বাড়ে হাতিয়ার রূপ।
চারিদিকে জলে উঠা ঢেউ যার সাথী,
স্হানীয় বিদ্যুতে জ্বলে হাতিয়ার বাতি।