মেঘ নাই জল নাই উঠে হাহাকার,
দুনিয়ায় বিধাতার লীলা বুঝা ভার।
অসময়ে ছুটে আসে প্লাবনের জল,
মাঠঘাট ডুবে যায় ভাসে সমতল।
জলে ভাসা সিলেটের যত বাড়িঘর,
প্লাবনের ঘুরপাকে কাঁপে থরথর।
জমির ফসল গেলো পুকুরের মাছ,
থৈ থৈ জল ঠেলে আধা মরা গাছ।
ঘরের ভেতর জল চারিদিকে ঢেউ,
কেউ আছে হাল ধরে, ঘরছাড়া কেউ।
জল এসে শেষ হলো সব সম্বল,
অপেক্ষা, কবে যাবে প্লাবনের জল।
অতি ভারী বর্ষণে ভাসে মেঘালয়,
ছুটে আসা জল নেমে আরো বাড়ে ভয়।
সেইসাথে আকাশটা করে ঘুরঘুর,
ঝুম বৃষ্টি ধুমধাম কানে তোলে সুর।
পাহাড়ি নদীর তোড়ে প্লাবনের গতি,
বৃষ্টির জল পড়ে আরো অবনতি।
প্রতিটা দিনই যেনো বছর সমান,
কষ্টের প্রহর গুনে বেঁচে থাকা জান।
চারিদিকে খালি চোখ যায় যতদূর,
প্লাবন জলের ভয় হয় নাতো দূর।
পথঘাট তলানিতে চলাফেরা দায়,
টিকে থাকা ভীত মন হিমশিম খায়।
পাহাড়ের পাদদেশে খোলা সব দ্বার,
প্লাবন জলের দাগ লাগে বারবার।
যতই না হাহুতাশ করি আমি তুমি,
বাস্তবে সিলেট আজ প্লাবনের ভূমি।